জাবিতে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে র্যালি ও সমাবেশ
প্রকাশিত : ২০:৩৫, ৯ আগস্ট ২০২২ | আপডেট: ২০:৩৬, ৯ আগস্ট ২০২২
আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস ২০২২ উপলক্ষে ‘ঐতিহ্যগত বিদ্যা সংরক্ষণ ও বিকাশে আদিবাসী নারী সমাজের ভূমিকা’ প্রতিপাদ্য করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন এর আয়োজনে এক র্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) বিকেল ৫টায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে র্যালী শুরু হয়ে ট্রান্সপোর্ট চত্ত্বর, চৌরঙ্গী, জাকসু হয়ে পুনরায় শহীদ মিনারে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়। র্যালিতে বিভিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠীর অর্ধ-শতাধিক শিক্ষার্থীকে ‘বনভূমির অধিকার, দিতে হবে দিতে হবে’, ‘পাহাড় থেকে সেনা প্রত্যাহার, করতে হবে করতে হবে’, ‘পর্বত যতদূর, আমার বাড়ি ততদূর’, ‘আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি, দিতে হবে দিতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা
যায়।
নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী জয়ন্ত ত্রিপুরার সঞ্চালনায় র্যালি পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি, আর কে এল মংপা বম তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ রাষ্ট্রে আদিবাসীদের কোন জায়গা নেই৷ নিজেদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকার করি কেন? আমাদের নিজস্ব বর্ণমালা, আচার আচরণ আছে৷ বাংলাদেশে আমাদের অপমানিত করার জন্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টী উপজাতি বলা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়-সমতলের সকল জাতিসত্তার পরিচয় আমরা বহন করি। আমরা একজোট হয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে ছুটি থাকলেও আমাদের নববর্ষে কোন ছুটি নাই৷ জুম পাহাড়ে আমাদের ফসল কাটার পর উৎসব হয়। এ উৎসবে আমাদের একাডেমিক কার্যক্রম চলে৷ এদিন আমাদের ছুটি কার্যকর করতে হবে।’
এসময় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি শাখার সভাপতি রাকিবুল রনি বলেন, ‘আজকে পঞ্চাশ বছর হয়ে গেল স্বাধীন দেশের, সংবিধানের ৬(২) ধারায় বলা হয়েছে বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশি হিসেবে চিহ্নিত হবে, তাহলে আদিবাসীদের পরিচয় কি হবে? তাদের পরিচয় সংবিধান থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। জাতিসংঘের আদিবাসী সংক্রান্ত ফোরামের স্পষ্ট বক্তব্য দুইজন মানুষ মনে করে আমরা অন্যান্যদের চেয়ে আলাদা, আমাদের কৃষ্টি-কালচার, সংস্কৃতি আলাদা হলেই তার নাম আদিবাসী। ১৫৫০ সাল পর্যন্ত প্রমাণ পাওয়া যায় কর্ণফূলী নদীর দক্ষিণ তীরে চাকমারা বসবাস করতো। তারা আদিবসী। ৭২ সালের সংবিধান থেকে শুরু করে প্রতিটি সংবিধানে তাদের স্বীকৃতি দিতে নারাজ। নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও তারা নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত৷’
উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ভর্তি সংক্রান্ত সহায়তা থেকে শুরু করে সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদানের উদ্দেশ্যে ২০০৯ সালে ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়।
কেআই//
আরও পড়ুন