নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হবে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৪২, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১২:৫৩, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
বন্ধ হচ্ছে প্রকল্পভিত্তিক সাক্ষরতা কার্যক্রম। কর্মসূচি বাস্তবায়নে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সহায়তা নেয়া হবে না। আগামী বছর থেকে নিজস্ব লোকবল ও ব্যবস্থাপনায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করবে সরকার। শিক্ষাবিদরা বলছেন, কার্যক্রমটি রাজস্ব খাতের আওতায় আনা গেলে নিরক্ষর জনগোষ্ঠির সঠিক সংখ্যা নিরূপণের পাশাপাশি স্বল্প সময়ে শতভাগ সাক্ষরতা অর্জন সহজ হবে।
দেশে নিরক্ষর মানুষের সংখ্যা এখনো ২৪ শতাংশের বেশি। যদিও ২০১০ সালে এ হার ছিল প্রায় ৪৩ শতাংশ। তবে গত একযুগে সাক্ষরতা ৩১ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেড়ে উন্নীত হয়েছে ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশে।
এমন বাস্তবতায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জন এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দ্রুত সময়ে নিরক্ষরতা দূর করতে চায় সরকার। সে লক্ষ্যে এনজিও-নির্ভরতা থেকে বেড়িয়ে কার্যক্রমটি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা করার উদ্যোগ নিয়েছে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো।
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মু. নরুজ্জামান শরীফ বলেন, “আমরা চাচ্ছি, স্থায়ীভাবে লোকবল নিয়োগ করে অনানুষ্ঠানিক বা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমটা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সরকারি অর্থায়নে করা হবে।”
সারাদেশে ২২ হাজার উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলমান ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন’ প্রকল্প শেষ হচ্ছে ২০২৩ সালের জুন মাসে। এরমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে তিনজন করে কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে সরকার। স্থানীয় সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিখন কেন্দ্র তৈরি করে পরিচালনা করা হবে শিক্ষা কার্যক্রম।
মু. নরুজ্জামান শরীফ আরও বলেন, “সরকার নীতিগতভাবে আমাদের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে স্থায়ী লোকবলের মাধ্যমে এই উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা যে কোনো নামেই হোক না কেন এই কার্যক্রম পরিচালনা করবো।”
নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করা গেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব মনে করেন শিক্ষাবিদরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউডের অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষার জন্য যে কার্যক্রমগুলো প্রজেক্টভিত্তিক ছিল সরকারের সে রকম প্রজেক্টভিত্তিক কোনো কার্যক্রম নাই। ঠিক সেই ভাবে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার জন্য একটি কর্মপরিচল্পনা তৈরি করতে হবে। যেটা হবে প্রোগ্রাম ভিত্তিক। সেই প্রোগ্রাম হাতে নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে এই দায়িত্ব দিতে হবে এবং রাজস্বের সঙ্গে এটাকে অন্তর্ভুক্ত করে দিলে এগুলো বাস্তবায়ন করা সরকারের পক্ষে সহজ হবে।”
সাক্ষরতা কার্যক্রম রাজস্ব খাতের আওতায় পরিচালিত হলে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আসবে বলেও মনে করেন শিক্ষাবিদরা।
এএইচ
আরও পড়ুন