ঢাকা, সোমবার   ০৭ অক্টোবর ২০২৪

শর্তের বেড়াজালে প্রাথমিকের বদলি (ভিডিও)

রিয়াজ সুমন

প্রকাশিত : ১২:৫২, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

শর্তের বেড়াজালে বদলির সুযোগ-বঞ্চিত হচ্ছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বহু শিক্ষক। প্রক্রিয়া সহজ করার দাবি তাদের। তবে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম ঠিক থাকলে যৌক্তিক দাবি বিবেচনার কথা বলছেন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা। 

বরগুনা পৌরসভার বাসিন্দা ফাহমিদা নুসরাত সুমী। দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করছেন সদর উপজেলার বদরখালি ইউনিয়নের ফুলঝুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বাড়ির পাশেই আছে মধ্য বরগুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; সেখানে পদও খালি; কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠানে বদলি হয়ে যেতে না পারার অভিযোগ তার।   

তিনি বলেন, "স্কুল সিলেক্ট করার পর যখন জানতে পারলাম আমি যেতে পারবোনা, তাহলে আমার জানান উপায় কি? ওটা নাকি বিধিতে পড়ে না, তাহলে বিধিতে পড়ে না যে স্কুল তাহলে সে স্কুল অনলাইনে কেনো দেখানো হল?" 

স্ত্রী সন্তান থাকেন নিজের স্থায়ী ঠিকানা পটুয়াখালিতে। কিন্তু গত ১৩ বছর ধরে বরগুনার বেতাগি উপজেলায় সহকারি শিক্ষক পদে কর্মরত মনিরুজ্জামান। বর্তমান কর্মস্থল এ উপজেলার চান্দখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, যা তার বাড়ি থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে। নিজ জেলায় বদলি হওয়ার অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ তিনি।

তিনি বলেন, "আমার ওয়াইফ পটুয়াখালীতে থাকেন, তিনি শারীরিকভাবে একটু অসুস্থ, আমার যাওয়া উচিৎ"। 

তিন বছর পর অনলাইনের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষক বদলি কার্যক্রম শুরু হয়েছে, তবে জুড়ে দেয়া হয়েছে নানা শর্ত। প্রতিষ্ঠানে ৪ জনের কম শিক্ষক থাকা, প্রধান শিক্ষকের পদ শূণ্য থাকা, ৪০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন শিক্ষক থাকার মতো শর্তের বেড়াজালে আটকে আছে বহু শিক্ষকের বদলি প্রক্রিয়া।   

একজন বলেন, " বিভিন্ন ব্যাকওয়ার্ড জায়গায় যারা দীর্ঘদিন ধরে আছেন তারা অনেক কছর ধরে অপেক্ষা করে আছে আসার জন্য।" 

আরেকজন বলেন, "আমার হাজবেন্ডের বাড়ি ফুলপুর, আমি আছি ময়মনসিংহ, এখন দুইজন এক জায়গায় থাকতে হলে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।"

সুন্দর একটা সিস্টেম চান শিক্ষকরা, যাতে সব শিক্ষক নিজ নিজ এলাকায় সহজেই বদলি হতে পারেন এটাই চান শিক্ষকরা।

এদিকে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করে কোনো শিক্ষককে বদলির সুযোগ দেয়া সম্ভব নয়। তবে শিক্ষকদের কোনো যৌক্তিক দাবি থাকলে তা বিবেচনা করা হবে।  

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুহিবুর রহমান বলেন, "আমাদের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা যাতে ঠিকঠাক হয় এইটা সবার আগে দেখা হয়। এটায় অগ্রাধিকার দিতে হবে। এরপর শিক্ষকদের দাবি যৌক্তিক হলে সেগুলো আমরা পূরণ করার চেষ্টা করি। আমরা যে নীতিমালা করেছি, সেটায় কিছু সমস্যা থাকিতে পারে কিন্তু যৌক্তিক দাবি হলে আমরা পূরণ করার চেষ্টা করি।" 

১৫ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শুধুমাত্র নিজ উপজেলার ভেতরে বদলি আবেদনের সুযোগ পাচ্ছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা। আন্তঃউপজেলা, আন্তঃজেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে বদলির সময় জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস।  
এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি