নির্যাতনের অভিযোগ প্রত্যাহার জাবি শিক্ষার্থীর
প্রকাশিত : ১০:০৮, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার সাকিবুল ইসলাম ফারাব্বি তার অভিযোগপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
প্রত্যাহারপত্রে ফারাব্বি বলেন, ‘হলের সিনিয়ররা তাদের ভুল বুঝতে পারায় এবং অন্যদের সঙ্গে এ ধরণের কোন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলে অঙ্গীকার করায় আমি অভিযোগপত্র তুলে নিয়েছি। তারা আমার হলের সিনিয়র, তাদেরও একটা ভবিষ্যৎ আছে।’
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের প্রভোস্ট বরাবর অভিযোগপত্র উঠিয়ে নেয়ার জন্য আবেদন করেন তিনি।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, ‘গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সিনিয়রদের সঙ্গে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। তাই রাগের মাথায় আবেদনটি দিয়ে বসি। আবেদনটি দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী এবং অভিযোগটি প্রত্যাহার করছি। মারধোরের অভিযোগটি মিথ্যা ছিল।’
অভিযোগ প্রত্যাহারে কোনপ্রকার চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে কিনা এই প্রশ্নের জবাবে ফারাব্বি জানান, ‘কোন চাপ দেয়নি। আমি বিষয়টি নিয়ে আর এগুতে চাচ্ছি না। তারা আমার সঙ্গে বসেছে, কনভিন্স করছে এবং এই ঘটনা আর কারও সঙ্গে না ঘটুক এটাই শুধু আমার চাওয়া।’
হলে থাকতে কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি পড়াশুনায় মনোযোগী হব। আর সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই হলে আর থাকব না। অন্য কোন হলে শিফট করব বা নতুন হলে চলে যাব।’
এ ব্যাপারে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নাজমুল হাসান তালুকদার জানান, ‘অভিযোগপত্র প্রত্যাহারের একটি আবেদনপত্র পেয়েছি। ভুক্তভোগী সেখানে মারধরের ঘটনাটি মিথ্যা বলে অভিহিত করেছেন। তাকে প্রশ্ন করেছিলাম, কোন চাপে প্রত্যাহার করছে কিনা। ভুক্তভোগী স্বপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করেছে বলে নিশ্চিত করেছে।’
উল্লেখ্য, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের ২১৯ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনপূর্বক হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়ায় ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
তবে হলসূত্রে জানা যায়, ফারাব্বি হল ছাত্রলীগের মিছিলে অংশগ্রহণ করতেন এবং ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত।
এএইচ
আরও পড়ুন