ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

জেনারেটর কেনার নামে ভর্তিতে বাড়তি অর্থ আদায়

রিয়াজ সুমন

প্রকাশিত : ১০:২৫, ১৩ জুন ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

জেনারেটর কেনার কারণ দেখিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তিতে অতিরিক্ত অর্থ নিয়েছে রাজধানীর ডেমরার সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ।  শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তেই বেরিয়ে এসেছে এই তথ্য। বিষয়টিকে নীতিমালা পরিপন্থী উল্লেখ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড বলছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে ব্যবস্থা। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী রাজধানীর বেসরকারি স্কুলগুলো বাংলা ভার্সনে ভর্তির জন্য বছরের প্রথম মাস জানুয়ারির বেতন, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফিসহ নিতে পারবে সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা। 

কিন্তু রাজধানীর ডেমরার সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভর্তিতে নেয়া হয়েছে ১০ হাজার টাকারও বেশি। খোদ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তেই তা উঠে আসে। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধানকে শোকজ ও তার বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। 

উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতি কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান টেলিফোনে একুশে টেলিভিশনকে জানান, জেনারেটর কেনার জন্য বাড়তি টাকা নেয়া হয়। গভর্নিং বডিরও অনুমোদন ছিল।

অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, “প্রচণ্ড গরমে অভিভাবকদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তক্রমে কেবলমাত্র জেনারেটরের জন্য এই টাকাটা নেওয়া হয় “

২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়া নতুন তিনশ’ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বাড়তি অর্থ আদায়ের বিষয় স্বীকার করেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ।   

অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান বলেন, “তিনশ’ ছাত্র ভর্তি হয়েছে এদের কাছ থেকে জেনারেটর বাবদ নেওয়া ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা নেওয়া হয়েছে।”

এদিকে, শিক্ষা বোর্ড বলছে জেনারেটর কেনার জন্য ভর্তির সাথে বাড়তি অর্থ নেয়ার সুযোগ নেই। 

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার বলেন, “জেনারেটর বা বিদ্যুৎ বাবদ টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নের জন্য ফি নেওয়া হয়, সেখান থেকে জেনারেটর কিনতে পারে। আলাদা করে জেনারেটর কেনা বাবদ টাকা নিতে পারেনা।”

ঘটনার সত্যতা মিললে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। ৎ

প্রফেসর তপন কুমার সরকার বলেন, “কোর্টের একটা নির্দেশনা আছে যে এ ধরনের ঘটনায় ম্যানেজিং কমিটি বাতিল ও অতিরিক্ত ফি ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।”

একই অভিযোগ রাজধানীর আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে বলেও জানায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি