বাকি খাওয়ায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বেরোবি ক্যাফেটেরিয়া
প্রকাশিত : ১৫:৩৫, ১৪ জুন ২০২৩
ব্যবসায় লোকসান ও বাকি খাওয়ায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ক্যাম্পাসের ক্যাফেটেরিয়। সম্প্রতি বেরোবি ট্রেজারার বরাবর চিঠি দিয়ে আগামী ১০ জুলাই থেকে ক্যাফেটেরিয়া চুক্তি বাতিল ও বন্ধের জন্য আবেদন করেছেন লিজ গ্রহীতা এসএস ক্যাটারিং কর্তৃপক্ষ।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নানা সমস্যার কারণে আগামী ১০ জুলাই থেকে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনা করা সম্ভব নয়। উক্ত তারিখ থেকে চুক্তি বাতিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানায় ক্যাটারিং কর্তৃপক্ষ।
এরআগে গত ২৭ মার্চ এসএস ক্যাটারিংয়ের ব্যবস্থাপক সেলিম মন্ডল বেরোবি রেজিস্ট্রার বরাবর একটি চিঠি দেন। চিঠিতে তিনি বিদ্যুৎ বিল ও ভাড়া মওকুফের আবেদন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড.নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ ছাড়াও তার ঘনিষ্ঠ কিছু শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দের কাছে প্রায় আড়াই লাখ টাকা পাওনা রয়েছে ক্যাফেটেরিয়া কর্তৃপক্ষের।
এ বিষয়ে জানতে ক্যাফেটেরিয়া সহ-ব্যবস্থাপক মুকুল মিয়া বলেন, বর্তমানে ক্যাম্পাস তিন দিন বন্ধ থাকায় বেচা কেনা একদম কমে গেছে। আর যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি তাতে প্রতিদিনই লোকসান হচ্ছে। গত মে মাসের ৮ তারিখ থেকে জুন মাসের ৯ তারিখ পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার টাকার মতো লোকসান। এভাবে আর চালানো যাচ্ছে না।
আর পাওনা টাকার বিষয়ে বলেন, পাওনাগুলো ছিল করোনাকালে। পাওনাদারের বেশিরভাগই ক্যাম্পাসে নেই। তাদের কয়েকজনের সঙ্গে পরে যোগাযোগ করে সাড়া মেলেনি। এখন আর কেউ আগের মতো বাকি রাখেনা বা ঝামেলা করে না। এখন নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু লোকসানের মুখে পরে আর ব্যবসা করা সম্ভব হচ্ছে না।
ক্যাফেটেরিয়া লিজ গ্রহীতা ও ব্যবস্থাপক সেলিম মণ্ডল বলেন, এখন দ্রব্যমূল্যের দাম বেশি, বিক্রি কম, ভর্তুকিও নেই, প্রতিদিন কেনা-বেচা শেষে দেখা যায় লোকসান হচ্ছে, তাছাড়া আগের পাওনা তো আছেই। সব মিলে আমাদের আর পোষাচ্ছে না। তাই ক্যাফেটেরিয়া ছেড়ে দিচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালক সহযোগি অধ্যাপক ওমর ফারুক বলেন, ক্যাফেটেরিয়ার বিদ্যুৎবিল ও ভাড়া দীর্ঘদিন থেকে বাকি ছিল। লিজ গ্রহীতাকে বকেয়া বিল পরিশোধে করতে বলায় তারা ক্যাফেটেরিয়া চুক্তি বাতিলের জন্য আবেদন করেছে।
এএইচ
আরও পড়ুন