ঢাকা, শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

কুবি শিক্ষার্থী ইকবালের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আইনি নোটিশ

কুবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৫:০০, ৯ আগস্ট ২০২৩

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ইকবাল মনোয়ারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে উপাচার্যসহ ৮ জনকে আইনি নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে। 

বুধবার ইকবাল মনোয়ারের পক্ষে এ আইনি নোটিশ প্রেরণ করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, জনসংযোগ কর্মকর্তা এবং মার্কেটিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধানকে ডাকযোগে এবং ই-মেইলে এ আইনি নোটিশ প্রেরণ করা হয়। 

আগামী তিন দিনের মধ্যে এ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা না হলে সংবিধানের ১০২নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে এ অবৈধ বহিষ্কারাদেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করা হবে বলে জানানো হয়।

আইনি নোটিশে বলা হয়, যে অফিস আদেশের মাধ্যমে ইকবালকে বহিষ্কার করা হয়েছে, সে আদেশে কোনো আইন বা বিধির উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া তার সংবাদে উল্লেখিত উপাচার্যের বক্তব্য বিকৃতের আপাত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এর থেকে প্রতীয়মান হয় যে, উপাচার্য তাঁর ব্যক্তিগত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতেই ইকবালকে বহিষ্কার করেছেন। 

আইনি নোটিশে আরও বলা হয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৬ এর ৩২নং ধারা অনুযায়ী শৃঙ্খলা বোর্ড থাকার কথা থাকলেও সে সংক্রান্ত কোন বোর্ড এবং বিধি পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বেআইনী ও এখতিয়ার বহির্ভূত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইকবাল তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন, যার সাথে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর কার্যক্রমের কোনো সম্পৃক্ততা নেই উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, কোনো সংবাদের বিষয়ে যদি উপাচার্য সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকেন তাহলে তাঁর প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করার অধিকার রয়েছে। তা না করে ইকবালকে বহিষ্কার করে উপাচার্য ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ইকবাল সংবাদকর্মী হিসেবে শুধুমাত্র উপাচার্যের বক্তব্য তুলে ধরেছেন, যার অডিও রেকর্ড রয়েছে।

সংবাদ প্রকাশের জেরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কারের মাধ্যমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯(২)(খ) অনুচ্ছেদে উল্লেখিত গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন করেছেন মর্মে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে । এছাড়া ইকবালকে তার অবস্থান ব্যাখ্যার জন্য কোনো ধরনের পূর্ব নোটিশ না দিয়ে বহিষ্কারাদেশ দেওয়ার মাধ্যমে ন্যায়বিচারের নীতির চূড়ান্ত লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

আইনি নোটিশের বিষয়ে বক্তব্য জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে নোটিশ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, আমি ‘ডিমান্ড ফর জাস্টিস’ নামে একটি আইনি নোটিশ ই-মেইলের মাধ্যমে পেয়েছি। এ বিষয়ে পরবর্তীতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে উপাচার্যের সাথে আলাপ করবো।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই উপাচার্যের বক্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় ২ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির অর্থ সম্পাদক ও যায়যায়দিনের প্রতিনিধি ইকবাল মনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি