ঢাকা, রবিবার   ০৯ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

শাস্তিপ্রাপ্ত নোবিপ্রবি শিক্ষকের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:০৫, ৩০ আগস্ট ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

অনিবার্য পরিস্থিতি উল্লেখ করে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন ছাত্রীকে যৌন হয়রানির দায়ে সহকারী অধ্যাপক থেকে প্রভাষক পদে পদাবনতিসহ বিভিন্ন শাস্তি পাওয়া নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক এস এম মুশফিকুর রহমান আশিক। 

মঙ্গলবার (২৯ তারিখ) নোবিপ্রবি শিক্ষা অনুষদের ডিন ও শিক্ষা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বিপ্লব মল্লিকবিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, মুশফিক আশিক ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বিভাগীয় চেয়ারম্যান হিসেবে আমার নিকট পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আমি নিয়মানুযায়ী পত্রটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করেছি।

ড. বিপ্লব মল্লিক আরও বলেন, পদত্যাগপত্রের চিঠিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গ্রহণ করেছে। তার সকল হিসেব নিকেশ সম্পন্ন করে তাকে ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হবে। আর বোর্ডে এটি উত্থাপন করে অফিসিয়ালি তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সম্পর্ক শেষ হবে।

পদত্যাগপত্র পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন নোবিপ্রবি রেজিষ্ট্রার অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর। তিনি বলেন, আমরা তার চিঠি গ্রহণ করেছি এবং পদত্যাগ কার্যকর হয়ে গেছে। এখন এই সংক্রান্ত পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মো. আব্দুল বাকী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জানানো হয়, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৫ বছরের জন্য মুশফিকুর রহমান আশিককে নিম্নপদে অর্থাৎ প্রভাষক পদে পদাবনতি করা হয়েছে। এ সময়ে তিনি প্রমোশনের কোনো আবেদন করতে পারবেন না এবং শিক্ষাছুটিতে যেতে পারবেন না। ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হলে তাকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হবে।   

ওই আদেশে আরও বলা হয়, যে সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে ওই ব্যাচসমূহের সকল অ্যাকাডেমিক ও সকল প্রশাসনিক কাজে তিনি অংশ নিতে পারবেন না। বিভাগের নতুন ব্যাচে তিনি ক্লাস ও পরীক্ষার কাজে অংশ নিতে পারবেন। তবে তার ক্লাস কার্যক্রম বিভাগীয় চেয়ারম্যান নিবিড় পর্যবেক্ষণ করবেন।

এর আগে ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ১৮ শিক্ষার্থী। এতে মোট ১৬টি বিষয় উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। যার মধ্যে রয়েছে নির্দিষ্ট কোনও কারণ ছাড়াই বিশেষ করে মেয়ে শিক্ষার্থীদেরকে রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ভয়ভীতি (পরীক্ষার ফলাফলের) প্রদর্শনের মাধ্যমে তার নিজস্ব অফিস কক্ষে বসিয়ে রাখতে বাধ্য করা, অনলাইন পরীক্ষার ভাইভা বোর্ডে ছাত্রীদের অশালীন প্রশ্ন করা, নিজের পছন্দের শিক্ষার্থীকে দিয়ে একই ব্যাচের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ফলাফল রেজাল্ট শিটে লিপিবদ্ধ করা, শ্রেণিকক্ষে থাকার থেকে শিক্ষকদের রুমে থাকলে সিজিপিএ ভালো করা যায়—এ ধরনের বিভিন্ন কথা বলা, মার্কস বাড়িয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীদের বিভিন্নভাবে অশালীন ও অনৈতিক ইঙ্গিত প্রদান করা।

এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগ বিভাগের শিক্ষার্থীদের।

পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে জানতে এস এম মুশফিকুর রহমান আশিককে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি