বর্ণাঢ্য আয়োজনে বেরোবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
প্রকাশিত : ১৬:০০, ১২ অক্টোবর ২০২৩ | আপডেট: ১৬:০৩, ১২ অক্টোবর ২০২৩
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে সাড়ে ৯টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদ।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়ার অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। এ সময়ে প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে বেলুন উড্ডয়ন ও আকাশে শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত করা হয়।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও এর সামনের মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে স্বাধীনতা স্মারক প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
র্যালি শেষে কেক কাটা ও বৃক্ষরোপণ করা হয়।
উচ্ছ্বসিত হয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান মুন্না বলেন, ‘আমার মতো নবীন শিক্ষার্থীর জন্য আজকের দিনটি ছিল অসাধারণ। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে আজকের দিনটি কেটেছে। আনন্দ শোভাযাত্রা, কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন, বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্রের কলকাকলিতে মুখরিত হয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর বিকালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক খেলাধুলার মধ্যে দিয়ে আজকের দিনটাকে খুবই উপভোগ্য করে তুলেছে।’
জেন্ডার ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আনিকা তাসকিন বলেন, ‘বেরোবির ষোড়শ জন্মদিনের আনন্দ শোভাযাত্রা অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আমার জীবনের একটি আনন্দময় সকাল কেটেছে আজ। আমরা ২২টি ডিপার্টমেন্ট এক হয়ে আনন্দশোভা যাত্রায় অংশ করি। আজকের দিনটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে কারণ বেরোবি-১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী হয়ে উদযাপনে অংশ হতে পেরেছি যা আমার বিশেষ প্রাপ্তি।
বিভিন্ন আনন্দময় কর্মসূচিপালনের মধ্য দিয়ে বেরোবির ৭৫ একর ক্যাম্পাস মুখরিত। বিকেল ৩টায় আলোচনা সভা ও সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
সাবেক কলা অনুষদের ডিন ও বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. আবু সালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান বলেন, যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় যেভেবে এগিয়ে যাওয়ার কথা বেরোবি সেইভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের যেমন নানান সংকট প্রতিকূলতা আছে তেমনি মেধাবী শিক্ষার্থী ও শিক্ষক আছে যারা সব ভেদ করে দেশ এবং দেশের বাহিরে অবদান রাখছে। আশা করি, আমরা যদি পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাই তাহলে বেরোবি বিশ্বমানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হবে।
উপাচার্য প্রসেসর ড.হাসিবুর রশীদ বলেন, আমরা বেরোবিকে আন্তর্জাতিক মানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের চেষ্টা করছি। আমাদের নানান সংকট আছে, ইতিমধ্যে অনেক সংকট কাটিয়ে উঠেছি। সেশনজট ও শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতসহ নানান সমস্যার সমাধান করেছি। আগামী বছর আমাদের প্রথম সমাবর্তন হবে। তাছাড়া আমরা রজত জয়ন্তীকে কেন্দ্র করে মাস্টার প্ল্যান সাজাচ্ছি।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের এইদিনে বিশ্ববিদ্যালয়টির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
এএইচ
আরও পড়ুন