ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪

প্রথমবার অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়েই জাতীয় পর্যায়ে সুযোগ রাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর

রাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৫:২২, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | আপডেট: ১৫:২৪, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

চতুর্দশ জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াড-২০২৩ এর আঞ্চলিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতা বিভিন্ন অঞ্চলে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। এবার বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের আয়োজক ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গণিত বিভাগ। আর এই প্রতিযোগিতায় প্রথমভার অংশ নিয়েই জাতীয় পর্যায়ে সুযোগ পেয়েছেন রাবিপ্রবি’র শিক্ষার্থী অপু।

শুক্রবার (১৬ জানুয়ারি) বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের স্নাতক পর্যায়ের প্রায় ২১টি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের গণিত পিপাসু শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করে। দুপুরে গণিতবিষয়ক নানা প্রশ্নোত্তর ও অংশগ্রহণকারীদের সনদ প্রদান শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। 

ফলাফলে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী এম. আকতারুজ্জামান অপু (৭ম ব্যাচ) যৌথভাবে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। এর ফলে তিনি জাতীয় আসরে অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। 

আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণের জন্য জাতীয় আসর থেকে প্রথম ১০ জন সুযোগ পাবেন।

এ প্রতিযোগিতায় রাবিপ্রবির ১২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিলেন।

প্রথমবার রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড.সেলিনা আখতার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবার অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করে কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।  আমি জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াডে বিজয়ীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি, সেই সঙ্গে অলিম্পিয়াডে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে আমাদের শিক্ষার্থীরা এমন সফলতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে বলে আমি আশাবাদী।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ মান উন্নয়নের স্বার্থে যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিজেদের আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমি মনে করি। পাশাপাশি যদি প্রতিযোগিতায় যথেষ্ট ফান্ডিং নাও থাকে, তবুও নিজ ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সহায়তার আশ্বাস দেন উপাচার্য।

সিএসই বিভাগের  সহকারী অধ্যাপক, টিমের সমন্বয়ক ও কোচ মো. মাঈনুদ্দিন বলেন, গণিত হলো সকল জ্ঞানের মূল। গণিতের প্রতি ভালবাসা এবং ভীতি কাটিয়ে মানসিক উৎকর্ষ সাধন ও মানব সভ্যতার ক্রমবিকাশে অবদানের জন্য প্রতি বছরই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বসে এ গণিতে আসর। এটা হলো স্নাতক পর্যায়ের। রাবিপ্রবির প্রথমবারের অংশগ্রহণেই এ সফলতায় টিমের প্রতিনিধি হিসেবে আমি অভিভূত।

তিনি আরও বলেন, উদীয়মান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নের চেষ্টায় আছি। এটি অবশ্যই আমাদের জন্য একটি ভালো অর্জন। এ ধরনের আয়োজনে অংশগ্রহণে সার্বিক সহযোগিতার জন্য উপাচার্যসহ সিএসই বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান ও সবসময় সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি