ঢাকা, শুক্রবার   ০৮ নভেম্বর ২০২৪

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করেছে চেরী ব্লোসমস ইন্টা. স্কুল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:১০, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | আপডেট: ২১:৫১, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আজ মহান একুশে ফেব্রুয়ারি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানি উপনিবেশিক শাসকের বিরুদ্ধে মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষার দাবিতে শাসকের বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েছিল বাংলার সূর্য সন্তানরা। পাকিস্থানি সামরিক জান্তার গুলিতে সেদিন ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হয়েছিল। শহীদ হন সালাম, জব্বার, রফিক, বরকতসহ নাম না জানা অনেকেই...। সেই সূর্যের সন্তানদের হারানোর দিন আজ। 

একুশ মানে চেতনা, একুশ মানে মাথা নত না করার দীপ্ত শপথ। আজ সে চেতনার দিন আজ সেই প্রাণ জাগানো সকাল আজ। ফাল্গুনের কৃষ্ণচূড়া, পলাশের লালে শহীদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল সেদিন ঢাকার রাজপথ। সেই ভাইহারা বেদনার দিনে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে চেরী ব্লোসমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ। একুশের সকালে স্কুলের শিক্ষার্থীরা প্রভাতফেরি মাধ্যমে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। 

চেরী ব্লোসমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল ও চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবক ড. সালেহা কাদের বলেন, মায়ের ভাষা বাংলাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ভাষা শহীদদের যে আত্মত্যাগ সেটি পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও নেই। একুশের চেতনাকে বুকে ধারণ করে নতুন প্রজন্মকে দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের স্কুলে শিক্ষার্থীদেরকে ৫২ ও ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ এর চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যেন ভবিষ্যতে সুনাগরিক হতে পারে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। 

ভাষা দিবসে স্কুলে নানান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' এই প্রতিপাদ্য বুকে ধারণ করে ১৭২ জন শিক্ষার্থী চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। বাংলা অমিপিয়ার্ড এর আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেয় ১৪৯ জন শিক্ষার্থী।    

তিনি আরও বলেন, এই দিনে আমি প্রথমে সকল ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। ৫২ ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের বীজ বপিত হয়েছিল। এটি আমাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ। মায়ের ভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সেদিন এদেশের ছাত্র জনতা রাজপথে নেমে প্রতিবাদ করেছিল। একুশ আমাদের চেতনাকে আরও শাণিত করে যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে উদ্বুদ্ধ করে। 

চেরী ব্লোসমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল ও চেয়ারম্যান ড. সালেহা কাদের বলেন, অনেক ত্যাগের আর শহীদের রক্তের দামে কেনা আমাদের মায়ের ভাষা। আগামিতে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে অবশ্যই শিশুদের ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য আগামি প্রজন্মকে জানাতে হবে।

সেই সাথে একুশের চেতনা বুকে ধারণ করেই বাংলাকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিতে হবে। আমি সেই লক্ষে শিশুদেরকে স্কুলে পালাগান, পুঁথিপাঠ শেখাচ্ছি। যাতে করে শিশুর আবেগ অনুভূতির সঙ্গে বাংলা সংস্কৃতির পরিচয় ঘটে।’  

উল্লেখ্য, চেরী ব্লোসমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিশুদেরকে পাঠদানের পাশাপাশি নিয়মিত পালাগান, পুঁথিপাঠ, চিত্রাঙ্কন শেখানো হয়। যাতে করে শিশুরা বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক বিকাশে ভূমিকা রাখছে। এছাড়া স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের নিয়ে গঠিত হয়েছে 'চেরী ব্লোসমস মাদার্স ক্লাব'। শিশুদের মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ডাক্তারি পরামর্শ, আইনগত পরামর্শ, রান্না শেখানো, ফ্রী ইংলিশ লার্নিং কোর্স, মেহেদী উৎসব, পিঠা-পুলি উৎসবসহ অসংখ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অভিভাবকরা মেতে থাকে।এই প্রতিষ্ঠান দেশ ও দেশের বাহিরে দারুণ সুনাম অর্জন করেছে। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ওয়ার্ল্ড হায়েস্ট নাম্বার পেয়ে আমেরিকা, ইউ-কে, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া সহ বিশ্বের বিভিন্ন মানসম্মত প্রতিষ্ঠানে স্কলারশিপ নিয়ে অধ্যয়ন করছে। 

কেআই// 


 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি