ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৩ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

খুবিতে গবেষণা অনুদানের চেক বিতরণ

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:৫৭, ১২ মার্চ ২০২৪

Ekushey Television Ltd.

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রাজস্ব/উন্নয়ন বাজেটের আওতায় গবেষণা প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দকৃত অর্থের তৃতীয় পর্যায়ের চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। 

এ পর্যায়ে সোমবার (১১ মার্চ) ২৩টি গবেষণা প্রকল্পের অনুকূলে ১ কোটি ৩২ লাখ ৩ হাজার ৫০০ টাকার চেক বিতরণ করা হয়। এছাড়া এবারই প্রথম মাঠ গবেষণার জন্য ৫টি ডিসিপ্লিনকে ৫৫ লাখ ৫ হাজার টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়। 

বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের কনফারেন্স রুমে গবেষণা ও উদ্ভাবনী কেন্দ্র আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গবেষকদের হাতে চেক তুলে দেন প্রধান অতিথি উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।

এসময় তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমঞ্চে নেতৃত্ব দিতে গেলে গবেষণা হতে পারে একটি বড় হাতিয়ার। গবেষণার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরে সে পথেই রয়েছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎকর্ষ সাধনে শিক্ষা ও গবেষণায় যে পর্যায়ে থাকা উচিত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সে পর্যায়েই রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, একজন গবেষক তাঁর গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন আইডিয়া জেনারেট করেন। সরকার এখন গবেষকদের গবেষণালব্ধ ফলাফল দেখতে চায় এবং এটি যাতে মাঠ পর্যায়ে পৌঁছায় সে বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেছে। আমরা চাই- কোয়ালিটি রিসার্চ এবং অ্যঅকশন রিসার্চ। যা মানুষের উপকারে আসে। তিনি অনুদানপ্রাপ্ত গবেষকদের অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহারের পরামর্শ দেন।

উপাচার্য বলেন, শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও গবেষণায় অনুদান দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষকরা যাতে গবেষণালব্ধ ফলাফল জার্নালে সহজে প্রকাশ করতে পারেন, এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্টিকেল প্রসেসিং ফি দেওয়া হচ্ছে। গবেষণার ধারাকে অব্যাহত রাখতে রিসার্চ ইনডোমেন্ট ফান্ড গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব রিসার্চ স্ট্র্যাটেজি প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে। আগামী এটি অনুসরণ করে গবেষণা বরাদ্দ দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বরাদ্দ প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। শিক্ষকরা গবেষণায় আত্মনিয়োগ করায় এটি সম্ভব হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে- তারই একটি ফলাফল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বরাদ্দ বৃদ্ধি। এই গবেষণা বরাদ্দের মাধ্যমে গবেষকদের নতুন নতুন আইডিয়া উঠে আসবে এবং নবীন গবেষকরা আরও বেশি অনুপ্রাণিত হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী। আরও বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। গবেষণা ও উদ্ভাবনী কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কাজী দিদারুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুগ্ম পরিচালক প্রফেসর ড. মো. ইয়ামিন কবীর। 

মাঠ গবেষণার জন্য অনুদানপ্রাপ্ত ডিসিপ্লিনের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মো. গোলাম সরোয়ার, অনুদানপ্রাপ্ত গবেষকদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. খো. মাহফুজ উদ দারাইন এবং ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক আবুল বাশার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গবেষণা ও উদ্ভাবনী কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক প্রফেসর ড. মাসুদুর রহমান। 

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, শিক্ষক ও অনুদানপ্রাপ্ত গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি