ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

প্রথম স্কুল হিসেবে ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করলো গ্রিনহেরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৫৪, ১৪ মার্চ ২০২৪

দেশের প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করলো গ্রিনহেরাল্ড স্কুল। এর মাধ্যমে, স্কুলের শিক্ষার্থীরা সার্টিফিকেশন জালিয়াতির হাত থেকে রক্ষা পাবে। দেশের প্রথম স্কুল হিসেবে তারা সার্টিফিকেশন ব্যবস্থায় ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করেছে। 

প্রচলিত কাগজের সার্টিফিকেট দিয়ে সহজেই জালিয়াতি করা যায়, যা চাকরিতে নিয়োগের পাশাপাশি দূতাবাসের কাজেও সমস্যা তৈরি করতে পারে। সেটি বিবেচনায় নিয়ে ট্যাম্পার-প্রুফ অথেন্টিসিটি নিশ্চিতে ডিজিল্যান্ডের ব্লকচেইন সমাধান ব্যবহার করছে গ্রিনহেরাল্ড। সম্প্রতি, গ্রিনহেরাল্ড (জিএইচ) অ্যালামনাইদের নেতৃত্বে গ্রিনহেরাল্ড স্কুল এবং ডিজিল্যান্ডের মধ্যে এ বিষয়ক একটি চুক্তি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ডিজিল্যান্ড একটি ব্লকচেইন স্টার্টআপ, যা সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশনের কাজ করে। এটি সার্টিফিকেটের সত্যতা যাচাইয়ে নির্ভরযোগ্য সমাধান দেয়। এটি সার্টিফিকেটের জন্য একটি অপরিবর্তনীয় ডিজিটাল রেকর্ড তৈরি করে, ফলে সার্টিফিকেট অবিলম্বে যাচাই করা সম্ভব হয় এবং এর নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়। সার্টিফিকেটগুলো ব্লকচেইনে ডিজিটালি রেকর্ড হয় এবং কিউআর কোডের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়।

২০২৩ সালের মার্চ মাসে এসএফএক্স গ্রিনহেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রথম অফিসিয়াল জিএইচ অ্যালামনাই নেটওয়ার্কের যাত্রা শুরু হয়। এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রিন্সিপাল সিস্টার ভার্জিনিয়া আশা গোমেজ আরএনডিএম; প্রধান পরামর্শদাতা সিনিয়র শিক্ষক রোনাল্ড ক্রুজ; অ্যালামনাই নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সোনিয়া বশির কবির; এবং মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহিন এম. রহমান।

গ্রিনহেরাল্ড ডিজিল্যান্ডের ব্লকচেইন প্ল্যাটফর্মকে তাদের সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়ায় সমন্বিত করবে, ফলে সার্টিফিকেট যাচাই আরও দ্রুত হবে, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ খরচ কমবে এবং শিক্ষার্থীরা ট্যাম্পার-প্রুফ ডিজিটাল সার্টিফিকেট পাবে, যা যেকোনও সময় যেকোনও জায়গায় ব্যবহার করা যাবে। 

এ প্রসঙ্গে জিএইচ অ্যালামনাই সভাপতি সোনিয়া বশির কবির বলেন, “ব্লকচেইনের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারকারী বাংলাদেশের প্রথম স্কুল হিসেবে গ্রিনহেরাল্ডকে অভিনন্দন। এড-টেক সল্যুশন ব্যবহার যেকোনও স্কুলের জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে বলে আমার বিশ্বাস।”

জিএইচ অ্যালামনাই মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহিন এম. রহমান বলেন, “আমাদের স্কুল ব্লকচেইন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করায় আমরা গর্বিত। এই সিদ্ধান্ত অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত শিক্ষার্থী এবং স্কুল প্রশাসনের জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে।”

ডিজিল্যান্ড সম্পর্কে- 
প্রতিষ্ঠাতা সানজানা সাদিকের নেতৃত্বে পরিচালিত ব্লকচেইন স্টার্টআপ ‘ডিজিল্যান্ড’ সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশন নিয়ে কাজ করে। শিক্ষাক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডিজিল্যান্ড একাডেমিক ও অন্যান্য ক্রেডেনটিয়ালস প্রদান, ভেরিফিকেশন এবং স্টোরেজের জন্য উদ্ভাবনী ব্লকচেইন-ভিত্তিক সমাধান প্রদান করে।


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি