ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

কসমো স্কুল

পাহাড় চূড়ায় আলোর মশাল

আউয়াল চৌধুরী

প্রকাশিত : ১৮:৩৭, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২৩:৩৩, ২৮ জানুয়ারি ২০২০

পাহাড়ের চূড়ায় জ্বলছে আলোর মশাল। যেখানে ছিলো না কোনো মানুষের আনাগোনা। আজ সেই দুর্গম পাহাড়ের ভাঁজে-ভাঁজে অসংখ্য শিশু-কিশোরের কণ্ঠে যেন বেজে উঠছে শাশ্বত রাগীনির অমোঘ সুর-মূর্ছনা।

বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নে পাহাড়ের চূড়ায় এক নিরিবিলি পরিবেশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল অ্যান্ড কলেজ। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত, এতিম, অনাথ ও অসহায় শিশুদের হাতে শিক্ষার আলোর মশাল তুলে দিতে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। স্কুলটির লক্ষ্য শুধু গতানুগতিক শিক্ষা দেওয়া নয় বরং অবহেলিত শিশুদের প্রাতিষ্ঠানিক ও সামাজিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক ও মানবিক গুণাবলীতে সমৃদ্ধ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। তাইতো রোজ পুব আকাশে সূর্য উঠার আগেই শুরু হয়ে যায় নিরব জ্ঞানচর্চা। সুশৃংখল পরিবেশে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে দিনভর চলে বিদ্যাচর্চা। পাঠদানের ফাঁকে চলে খেলাধূলা এবং সুকুমার বৃত্তি ও সাংস্কৃতিক চর্চা।   

 জানা গেছে, ২০০১ সালে মাত্র সাত শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হয়েছিল এই স্কুলের পথচলা। বর্তমানে সেখানে পড়ালেখা করছে সতেরশ’ ছাত্র-ছাত্রী। শিক্ষা ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাফল্য দেখলে বিস্মিত হবেন যে কেউ। দক্ষ একদল শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে সামাজিকতা-নীতি-মূল্যবোধ-ধর্মসহ জীবনের প্রতিটি বিষয়ে পাঠদানের মাধ্যমে গড়ে তোলা হচ্ছে তাদেরকে একটু ভিন্নভাবেই।   

এ প্রসঙ্গে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল এন্ড কলেজের তত্ত্বাবধায়ক সালেহ আহমেদ বলেন, এতিম অসহায় সুবিধাবঞ্চিত ছেলে-মেয়েরা এখানে পড়ালেখা করছে। সারাদেশে আমাদের ৩০টি ক্যাম্প আছে। তারা সমাজের বঞ্চিত ছেলে-মেয়েদের খুঁজে বের করে নিয়ে আসে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তাদেরকে পড়ালেখা করানো হয় এখানে। রয়েছে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা। বর্তমানে ২০টি জাতিগোষ্ঠীর ৬টি ধর্মের ১৭ শতাধিক ছেলে-মেয়ে এই স্কুলে পড়ালেখা করছে। এখানে ছেলেদের জন্য ৮টি ও মেয়েদের জন্য ৪টি হল রয়েছে। স্কুলে প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে মেডিটেশন, নৈতিক শিক্ষা কার্যক্রম, চারু ও কারুকলা, সংগীত, নৃত্যকলা, খেলাধূলা এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসমূহের সংস্কৃতি চর্চা কার্যক্রম প্রভৃতি বিষয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

সালেহ আহমেদ আরও বলেন, বর্তমানে কোয়ান্টাম কসমো স্কুলে বাঙালী ছাড়াও ২০টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়ে পড়ালেখা করছে। এর মধ্যে রয়েছে ত্রিপুরা, চাকমা, মার্মা, গারো, তঞ্চঙ্গ্যা, বম, পাংখোয়া, মুরুং, সাঁওতাল, খিয়াং, খুমী, রাখাইন, বড়ুয়া, চাক, কড়া, উরাও, মুন্ডা, লুসাই, খিয়াও ও তেলেগু। এখানকার প্রতিটি ছেলেমেয়েই তাদের নিজ নিজ ধর্ম বিশ্বাসের আলোকে গড়ে ওঠছে। ইসলাম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, সনাতন, ক্রামা, প্রকৃতি পূজারির সব ধর্মের ছেলেমেয়ে পড়ছে এখানে। সবাই নিজ নিজ জাত-ধর্ম পালন করে থাকে। যারা মুসলমান তাদের জন্য রয়েছে মুক্তবে পড়ার ব্যবস্থা। এভাবে যারা বৌদ্ধ তাদের রয়েছে নিজ ধর্ম চর্চার ব্যবস্থা।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোয়ান্টাম কসমো স্কুলে সবকিছু চলে রুটিনমাফিক। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে সারাদিনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। ভোর ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে এসব কার্যক্রম। খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রেও রয়েছে সুষম পদ্ধতি। 

এ বিষয়ে সালেহ আহমেদ বলেন, ‘আমাদের সবকিছুই পরিকল্পিতভাবে হয়ে থাকে। ভোর ৫টা থেকে কার্যক্রম শুরু হয়। সরকারি নিয়মেই ক্লাস চলে। মেডিটেশন, স্কুল, খেলাধুলা সবকিছুই রুটিন মাফিক হয়ে থাকে। এখানকার শিক্ষার্থীদের দিনে তিন বেলা খাবার ও চারবার নাস্তা দেওয়া হয়। প্রতিদিনের নাস্তায় থাকে একটি সিদ্ধ ডিম, ছোলা, নিমপাতা, কালজিরা ভর্ত্তা, সয়াদুধ ও বাদাম। আর তিন বেলা খাবারেও সাপ্তাহিক রুটিন মাফিক মাছ-মাংস-সবজি থাকে। আর এখানে ছোটদের স্কুলে যাওয়ার আগে ও দুপুরের পর মেডিটেশন করানো হয়। বড়দের সন্ধ্যার সময় মেডিটেশন করানো হয়।’ 

শিক্ষার্থীদের ‘আমি পারি, আমি করবো, আমার জীবন আমি গড়বো’ এমন মন্ত্রে উজ্জীবিত করা হয়। এদের রেজাল্ট চমকে দিচ্ছে সবাইকে। পড়াশোনা, খেলা, ব্যায়াম, ধর্মচর্চা এবং মেডিটেশন এর মাধ্যমে তাদেরকে এমনভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে যার কারণে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা সাফল্যের চিহ্ন রেখে যাচ্ছে।

চোখ ধাঁধাঁনো রেজাল্ট

কসমো স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়ার জন্য ১৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিল। তাদের মধ্যে ৭ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ৭ জন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায়। সুযোগ পেলে যেকোনো বর্ণের যে কোনো মানুষই যে, তার মেধাকে বিকশিত করতে পারে কসমো স্কুল অ্যান্ড কলেজ তারই এক উজ্জল দৃষ্টান্ত।  

এ বিষয়ে সালেহ আহমেদ বলেন, আমরা ছেলে-মেয়েদেরকে প্রত্যেকটি বিষয়েরই অত্যন্ত যত্ন সহকারে পাঠ দেওয়ার চেষ্টা করছি। সঠিক নিয়মাবর্তিতার কারণে তাদের রেজাল্টও খুবই ভালো হচ্ছে। তিনি জানান, স্কুলের ২০১৭ সালের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার রেজাল্ট ছিল অভাবনীয়। এই স্কুলের ছিল শতভাগ পাশ। পিইসিতে মোট ৯৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮১ জন জিপিএ-৫ পায় এবং ১৪ জন পায় জিপিএ-৪ তার বেশি গ্রেড। এভাবে প্রতিটি ক্লাসেই তাদের রেজাল্ট ইর্ষনীয়।  

ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্য

ক্রীড়াক্ষেত্রেও রয়েছে কসমো স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের অসামান্য সাফল্যে। ‘অলিম্পিকে সোনা আমি জিতবোই’ এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে কোয়ান্টাম তার ক্রিড়া কার্যক্রম নিরবিচ্ছিন্নভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে এই প্রতিষ্ঠানের খেলোয়াড়েরা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তাদের অসাধারণ নৈপুণ্য ক্রীড়াঙ্গনের মানুষদের দৃষ্টি পড়ে তাদের ওপর। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী তাদের সাফল্যের ভুয়সী প্রশংসা করেন। 

কোয়ান্টাম সূত্র থেকে জানা গেছে, কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের খেলোয়াড়রা ২০১৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ৩২ তম জাতীয় বয়সভিত্তিক জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতায় ৫ টি স্বর্ণ, ৬ টি রৌপ্য ও ৩ টি ব্রোঞ্জ পদক লাভ করে সবার নজরে চলে আসে। এরপর ২০১৪ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ৩৩ তম জাতীয় বয়সভিত্তিক জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের খেলোয়াড়রা ৩ টি স্বর্ণ, ৩ টি রৌপ্য ও ৪ টি ব্রোঞ্জসহ মোট ১০টি পদক লাভ করে। এর পরের বছরও তারা ৭ টি স্বর্ণ, ৬ টি রৌপ্য ও ৭ টি ব্রোঞ্জ পদকসহ মোট ২০ টি পদক অর্জন করে।

২০১৫ সালে ইন্দো বাংলা গেমস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় দলে ৬ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের ১ জন খেলোয়াড় সুযোগ পায় এবং সে জাতীয় দলের সঙ্গে ক্যাম্পিংয়ে অংশগ্রহণ করে। 

২০১৬ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় বয়সভিত্তিক ও সিনিয়র জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতায় ৯ টি স্বর্ণ, ১০ টি রৌপ্য ও ১০ টি ব্রোঞ্জ পদকসহ ৩৬ টি পদকের মধ্যে মোট ২৯ টি পদক অর্জন করে। এবারই প্রথমবারের মতো অনুর্ধ্ব ৮ বছর বালিকা বিভাগে বালিকা কোয়ান্টারা ২ টি ইভেন্টের ৬ টি পদকের ৫ টিই অর্জন করে। 

২০১৭ সালে পল্টন জিমনেসিয়ামে অনুষ্ঠিত ৩য় জাতীয় বয়সভিত্তিক জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতা-২০১৭ এর বালক ও বালিকা বিভাগের বিভিন্ন বয়স ক্যাটাগরির ১৬ টি ইভেন্টে মোট ৫৩ টি পদকের মধ্যে ৩২ টি পদক অর্জন করে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে ১১ স্বর্ণ, ১০ টি রৌপ্য ও ১১ টি ব্রোঞ্জ পদক।

খো খো খেলায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সাফল্য: ২০১৬ সালে ভারতের গৌহাটি ও শিলং -এ অনুষ্ঠিত ১২ তম সাউথ এশিয়ান গেমসের খো খো ইভেন্টের বাংলাদেশ পুরুষ দলে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের ১০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে এবং বাংলাদেশ দলের জন্য রৌপ্য অর্জন করেছে। এই প্রথমবারের মতো সাউথ এশিয়ান গেমস বা এস এ গেমসে অনুষ্ঠিত খো খো ইভেন্টে ভারত ছাড়াও শ্রীলংকা, নেপাল ও পাকিস্তান অংশগ্রহণ করে।

ভারতের ইন্দোর (মধ্য প্রদেশ) ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ৩য় এশিয়ান খো খো চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ জাতীয় খো খো দল অংশগ্রহণ করে রৌপ্য পদক অর্জন করে। জাতীয় দলের ১২ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের ১০ (দশ) জন খেলোয়াড় অংশ নেয়। টুর্নামেন্টে ৫টি দেশ অংশ নেয়। সেগুলো হচ্ছে ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল, বাংলাদেশ ও উত্তর কোরিয়া। 

২০১৫ সালে ঢাকার ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত স্বাধীনতা কাপ খো খো টুর্নামেন্টে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। ২০১৪ সালেও তারা চ্যাম্পিয়ন হয়।  

এছাড়া, ৮ম বাংলাদেশ গেমসে রৌপ্য ও ব্রোঞ্জপদক অর্জন, জাতীয় খো খো দলে খেলার যোগ্যতা লাভ, জাতীয় খো খো-তে রানার আপ ও তৃতীয় স্থান অর্জন, ১ম জাতীয় স্কুল খো খো-তে চ্যাম্পিয়ন, বিজয় দিবস খো খো প্রতিযোগিতা-২০১৭ এ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়।  

২০১৭ সালে ৪৬তম শীতকালীন জাতীয় স্কুল ও মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় টেবিল টেনিস ইভেন্টে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ঢাকাতে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতায় ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী রামহিমলিয়ান বম এবং ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী পাঅং বম এই সাফল্য অর্জন করে এবং বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়ন ট্রফি গ্রহণ করে কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

২০১৬ সালে ৪৫ তম শীতকালীন জাতীয় স্কুল ও মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় টেবিল টেনিস দ্বৈত ইভেন্টে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এছাড়া জাতীয় স্কুল-মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় টেবিল টেনিসে চ্যাম্পিয়ন, শেখ রাসেল স্কুল টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতায় দলগত ইভেন্টে রানার আপ, জাতীয় উম্মুক্ত টেবিল টেনিসে খেলার স্ট্যাটাস অর্জনসহ জেলা উপজেলায় অনুষ্ঠিত খেলায় তারা সাফল্যে অর্জন করে। 

২০১৫ সালের জাতীয় শিশু-কিশোর সমাবেশেও রয়েছে তাদের অসাধারণ সাফল্য। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত জাতীয় শিশু-কিশোর সমাবেশে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করে প্রথমবারই ১ম স্থান অধিকার করে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন।

এর পরের বছরও তারা একই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়। এছাড়া চট্টগ্রামে বিভাগীয় পর্যায়ে অংশ গ্রহন করে তারা প্রথম স্থান অধিকার করে।

ব্যান্ড দলের সাফল্যে

২০০৩ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের মার্চপাস্টের ছোট ও বড় দল প্রথম স্থান অধিকার করে গৌরব অর্জন করে।

২০১৫ সালের ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত জাতীয় শিশু-কিশোর সমাবেশের কুচকাওয়াজে অংশ নেয়। বাংলাদেশ আনসার বাহিনীর পাশাপাশি প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে কোনো স্কুল বাদক দল এই ব্যান্ড পরিবেশন করে। ৪৭ জন কোয়ান্টার সমন্বয়ে গঠিত ব্যান্ড দলে ছিলো অত্যাধুনিক ব্রাস ব্যান্ডের সরঞ্জামসমূহ। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোয়ান্টাদের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন। এরপরের বছরও তারা অংশ নেয় এবং প্রথম স্থান লাভ করে।

ডিসপ্লে তে সাফল্যে

এই বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীরা ২০০৯ ও ২০১০ সালে চট্টগ্রামে বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ডিসপ্লেতে প্রথম স্থান অধিকার করে। জেলা পর্যায়েও রয়েছে ব্যাপক সাফল্যে। ২০০৩ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ ডিসপ্লেতে প্রথম স্থান অধিকার করে।

এসি/ এআর

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি