পাঠ্যপুস্তকে তামাকের ক্ষতিকর দিক অন্তর্ভূক্ত করা হবে
প্রকাশিত : ১৭:৩৮, ২৭ মে ২০১৮
মাদকের কুফল সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে পাঠ্যপুস্তকে তামাকের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
তিনি আজ রোববার ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে ‘প্রজ্ঞা তামাক নিয়ন্ত্রণ সাংবাদিকতা পুরস্কার’প্রদান এবং বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা প্রজ্ঞা এবং এন্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, পাঠ্যপুস্তকে মাদকের কুফল সম্পর্কে উল্লেখ আছে। তামাকের বিষয়টি আলাদাভাবে উল্লেখ নেই। ২০২০ সালের পাঠ্যপুস্তকে তামাক ব্যবহারের ক্ষতিকর বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে অন্তর্ভূক্ত করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু আইন আছে। এই আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। ছেলেমেয়েদের সচেতন করতে হবে। তামাকের ব্যবহার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে হবে। তামাক নিয়ন্ত্রণে আরো কৌশল অবলম্বন করার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশ থেকে তামাককে যেন চিরতরে বিদায় করতে পারি, সে ব্যাপারে সবাইকে উদ্যোগ নিতে হবে। হবেহবে। তিনি বলেন, দেশরক্ষার জন্য তামাককে ত্যাগ করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে কোনো তামাক পণ্যের দোকান যাতে বসতে না পারে সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, এন্টি-টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্সের আহবায়ক মর্তুজা হায়দার লিটন এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের।
টিআর/ এআর
আরও পড়ুন