কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি ঢাবি শিক্ষকদের
প্রকাশিত : ১২:০০, ৮ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১২:১৫, ৮ জুলাই ২০১৮
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে পদযাত্রা শুরু হওয়ার আগে শিক্ষকদের সমাবেশ। ছবি একুশে টিভি অনলাইন
কোটা সংস্কার আন্দোলন করতে গিয়ে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া শিক্ষার্থীদের মুক্তি এবং নিপীড়ন ও হয়রানি বন্ধ করে হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে প্রতিবাদী পদযাত্রা কর্মসূচি পালিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। আজ রোববার সকালে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষকবৃন্দের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে এই পদযাত্রা শুরু হয়। শেষ হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে।
পদযাত্রায় অংশ নেন বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষক।
শিক্ষকরা এ সময় বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর যে সংহিস হামলা করা হয়েছে এটা জাতির জন্য কাম্য নয়। অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের মুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
পদযাত্রায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক অধ্যাপক ড. আকমল হোসেন, অধ্যাপক কাবেরী গায়েন, অধ্যাপক আসিফ নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ফাহমিদুল ইসলাম, ড. তানজিম উদ্দিন খান, ড. আবদুল মান্নান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরুর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, হামলার ঘটনায় চারটি এবং ৫৭ ধারায় একটি— মোট পাঁচটি মামলা হয়েছে শাহবাগ থানায়। এপর্যন্ত এসব মামলায় ১০ জন গ্রেফতার হওয়ার বিষয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন— রাশেদ খান, ফারুক হোসেন, তরিকুল, জসিমউদ্দিন, মশিউর, আমানুল্লাহ, মাজহারুল, জাকারিয়া, রমজান ওরফে সুমন ও রবিন। এদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হলেন— রাশেদ খান, ফারুক হোসেন ও মশিউর। মাহফুজ নামে একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আড়াই মাস পরও কোটার প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় গত শনিবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেয় কোটা আন্দোলনকারীদের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থীরা জড়ো হলে তাদের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়। পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক নুরুল হক নূরসহ বেশ কয়েকজনকে বেধরক মারধর করা হয়। এর প্রতিবাদের গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে শিক্ষাবিদদের লাঞ্চিত করে আইনশৃংখলা বাহিনী।
/ এআর /
আরও পড়ুন