জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবেন ড. হাছান মাহমুদ
প্রকাশিত : ২০:২৩, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ২০:২৩, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮
দীর্ঘ বিরতির পর আবারও অধ্যাপনায় ফিরছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরিবেশবিদ ড. হাছান মাহমুদ।
আজ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম ক্লাস নেন হাছান মাহমুদ। পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের একটি ক্লাসে অধ্যাপনা করেন তিনি। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে একটি ক্লাস নিলে সেখানকার শিক্ষার্থীরা হাছান মাহমুদকে নিয়মিত শিক্ষক হিসেবে পেতে ইচ্ছা পোষণ করেন।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি এবং অনুরোধের প্রেক্ষিতে ড. হাছান মাহমুদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। প্রতি সপ্তাহে এই বিভাগে একটি করে ক্লাস নিবেন তিনি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মাসে ১০টি ক্লাস নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিলো বলে জানা যায়।
এর আগে পরিবেশ বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ স্টাডিস বিষয়ে ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি এবং নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটিতে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেন ড. হাছান মাহমুদ। শিক্ষাজীবনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন বিষয়ে সম্মানসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি। বেলজিয়াম ব্রিজ ইউনিভার্সিটি অব ব্রাসেলস থেকে হিউম্যান ইকোলজি (পরিবেশ বিজ্ঞান) ও ইউনিভিার্সিটি অব লিবহা দু ব্রাসেলস থেকে আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিষয়ে মাস্টার্স করেন। এরপর পরিবেশ রসায়ন বিষয়ে বেলজিয়ামের লিম্বুর্গ ইউনিভার্সিটি থেকে পি এইচ ডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
শিক্ষাজীবন শেষ করে ব্রাসেলসের ইউরোপীয়ান ইনস্টিটিউট ফর স্ট্রেটেজিক স্টাডিস-এ ভিজিটিং ফেলো এবং একাডেমিক বোর্ড মেম্বার হিসেবে মনোনীত হন তিনি।
উল্লেখ্য, ড. হাছান মাহমুদ দেশে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একজন খ্যাতিমান পরিবেশবিদ হিসেবে সুপরিচিত। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে সরকারের পরিবেশমন্ত্রী এবং বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও দলের অন্যতম মুখপাত্র এবং জাতীয় সংসদের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দেশের পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ুজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
//এসএইচএস// এসএইচ/
আরও পড়ুন