চবিতে প্রক্সির মূল হোতা আনোয়ার গ্রেফতার
প্রকাশিত : ২২:৫০, ৫ নভেম্বর ২০১৮
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে(চবি) প্রক্সির মূল হোতা শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় আব্দুল করিম ভবনের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী।
আনোয়ারের বিরুদ্ধে প্রক্সি দিয়ে দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি ও টাকার বিনিময়ে চাকুরী প্রদানের মত জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেন চবির ইতিহাস বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি কুতুবদিয়ার কৈয়ারবিল বিন্দাপাড়ার। সে সোলতান আহমেদের সন্তান। পারিবারিক জীবনে সে বিবাহিত এবং তার একটি পুত্র সন্তান ও রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, প্রক্সির দায়ে আটক জামশেদুল কবিরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে শোকজ নোটিশ পাঠায়। আজ (সোমবার) আব্দুল করিম ভবনের সামনে ঘুরাঘুরি করতে দেখা গেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে আটক করে ও মোবাইল ফোন জব্দ করে। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেয় তাকে।
জব্দকৃত মোবাইল ফোনের ফেইসবুক একাউন্ট চেক করলে তার নেটওয়ার্ক সম্পর্কে খোঁজ পায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানা যায়, আনোয়ার শুধু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি জালিয়াতিসহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত। এসব জালিয়াতির মাধ্যমে টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছেন আনোয়ার।
নগরীর চকবাজারে কুতুবদিয়া কম্পিউটার ও সোনার তরী ট্যুরিজম নামে দুটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মালিক সে। এই প্রতিষ্ঠান দুটির অন্তরালে চলছে তার রমরমা জালিয়াতি ব্যবসায়।
এছাড়াও, ১৫ লক্ষ টাকা প্রদানের মাধ্যমে নিজের জন্যে বাংলাদেশ রেলওয়েতেও একটা চাকরি ঠিক করে রাখে আনোয়ার। এসব জালিয়াতির সঙ্গে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক জড়িত বলে সন্দেহ করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তার ব্যাপারে একাডেমিক্যালি কী সিদ্ধান্ত হবে জানতে চাইলে চবি প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আরেকটু খতিয়ে দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি জানান, প্রক্সির ব্যাপারে জিরো টলারেন্সে আছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
উল্লেখ্য, জামশেদুল কবিরের পর গতকাল একবছর ধরে ক্লাস করে পরীক্ষা দিতে এলে প্রক্সির দায়ে ধরা পড়েন আইন বিভাগের মঈন। আনোয়ার হোসেন ছাড়াও আরও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা যায়।
কেআই/ এসএইচ/
আরও পড়ুন