ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

অনুমোদন ছাড়াই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগ! 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:২৫, ২৯ নভেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৭:২৯, ২৯ নভেম্বর ২০১৮

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগ বাংলদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল থেকে অনুমোদন নেই। বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে সম্প্রতি প্রকাশিত ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী’ স্নাতক (বি. ফার্ম) কোর্স বিষয়ক বিজ্ঞপ্তি’ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।      

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী স্নাতক (বি. ফার্ম) কোর্স বিষয়ক বিজ্ঞপ্তিতে অ্যাক্রেডিটেশন (অভিস্বীকৃতি)/সাময়িক অ্যাক্রেডিটেশন প্রাপ্ত দেশের ৪০টি সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত সেই তালিকায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই। অথচ বিভাগটি ইউজিসি থেকে অনুমোদন পেয়ে ২০১৭-১৮ সেশন থেকে ৫০টি আসন নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যক্রম শুরু করে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফার্মেসী আইন ২০১৩ (বিশেষ বিধান) এর (ফার্মেসী অধ্যাদেশ ১৯৭৬) ধারা ১৯ অনুযায়ী বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের অনুমোদন ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসী স্নাতক (বি.ফার্ম) শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা আইনের পরিপন্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসী বিভাগ চালু করতে হলে অবশ্যই তাদেরকে বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের অ্যাক্রেডিটেশন (অভিস্বীকৃতি) গ্রহন করতে হবে।

ফার্মেসী স্নাতক (বি.ফার্ম) শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগকে অবশ্যই বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে। শুধুমাত্র ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক অ্যাক্রেডিটেশন (অভিস্বীকৃতি)/সাময়িক অ্যাক্রেডিটেশন প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগ থেকে বি.ফার্ম কোর্স সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীগণই পরবর্তিতে ফার্মেসী কাউন্সিল থেকে ফার্মাসিস্ট হিসেবে পেশাগত রেজিস্ট্রেশনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে অবৈধভাবে ফার্মেসী স্নাতক (বি.র্ফাম) কোর্স পরিচালনা করছে এরুপ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়ার জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জোরালো ভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।  

উল্লেখ্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-১৮ সেশন থেকে ফার্মেসী বিভাগ চালু হয়। বর্তমান বিভাগটিতে ৫০ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত আছে। এবছর ২০১৮-১৯ সেশনে ৫০টি আসনে ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে।

এ বিষয়ে ফার্মেসী বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. এম. মনিরুজ্জামান বলেন, প্রক্রিয়া চলছে, আমরা আনুমোদন পাওয়ার পক্ষে। আমাদের জানিয়েছে তারা পরিদর্শনে আসবে। আমাদের একটা সমস্য হয়েছে আমাদের তো কোন ল্যাব নেই। আমরা ল্যাবের বিষয়টি চিঠির মাধ্যেমে ভিসি স্যারকে জানিয়েছি। আশা করি এ সমস্য খবু শিঘ্র্র্র্রই সমাধান হবে।

এ বিষয়ে ভিসি প্রফেসর ড. হারুন উর রশিদ আশকারী বলেন, এটা হয়তো কোন কমিউনিকেশান গ্যাপ হয়েছে। আমরা সেখানে অন্তর্ভূক্তি করণের চেষ্টা চালাবো। আশা করি এ সমস্য থাকবেনা খুব শিঘ্রই আমরা অনুমোদন পেতে সক্ষম হব। 



এসি   

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি