আবাসন সঙ্কটে জাককানইবি’র শিক্ষক-কর্মকর্তারা
প্রকাশিত : ১৫:৩১, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
প্রশাসনের অনুমোদন প্রাপ্তির পরও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নামে বরাদ্ধকৃত ডরমেটরি ভবনের নিজেদের রুমে উঠতে পারছেন না বেশ কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে গত ১ ফেব্রুয়ারি নতুনভাবে বরাদ্ধকৃত ডরমেটরির রুম বুঝে নেওয়ার কথা থাকলেও তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন না বরাদ্ধ বাতিল হওয়া শিক্ষক-কর্মকর্তাগণ। প্রশাসনের ত্রুটিপূর্ণ নীতিমালা আর নানা অব্যবস্থাপনা এমন ভোগান্তির স্বীকার হয়েছেন জাককানইবি’র শিক্ষক-কর্মকর্তাগণ।
এ ঘটনায় ভোগান্তিতে পড়েছেন জাককানইবি’র প্রায় ১০-১৫জন সিনিয়র শিক্ষক-কর্মকর্তা। তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অফিস আদেশ পেয়েও তার তোয়াক্কা না করে জোড়পূর্বক অবৈধভাবে রুমে অবস্থান করছেন বরাদ্ধ বাতিল হওয়া সহকর্মীরা। আজ সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, ডরমেটরির সামনে আসবাবপত্র- মালামালসহ গেস্টরুমে অবস্থান নতুন বরাদ্ধ পাওয়া শিক্ষক-কর্মকর্তাগণ।
এ দিকে, ডরমেটরির ভবনের রুম বুঝে না পেয়ে এবং অরক্ষিত অবস্থায় রুমের বাইরে পড়ে থাকা আসবাবপত্র-মালামালের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তা।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসা বরাদ্ধ কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. জালাল উদ্দিন বলেন, আবাসন নীতিমালা ২০১৬ অনুযায়ী এই বরাদ্ধ সম্পূর্ণ অস্থায়ী ও পরিবর্তনযোগ্য। বরাদ্ধ বাতিল হওয়ার পর রুম ছাড়তে হবে এবং নতুন বরাদ্ধকৃতদের রুম বুঝিয়ে দিতে হবে। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশ অমান্য করে বাসা বুঝিয়ে দিচ্ছেন না তাদের বিষয়ে বেশ কিছু অভিযোগ আমরা ইতোমধ্যে পেয়েছি। সে ক্ষেত্রে উপাচার্য মহোদয় ছুটি থেকে ফিরে আসলে এই বিষয়ে যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ দিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আমিন আবির বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন নীতিমালা ত্রুটিপূর্ণ। যা একজন শিক্ষক-কর্মকর্তার জন্য সম্মান হানিকর। এই আবাসন বরাদ্ধে প্রতিনিয়ত একপাক্ষিক সুবিধাভোগীরাই সুবিধা নিচ্ছে। ডরমেটরি বাতিল হওয়ার পর আইনে উল্লেখ আছে একজন শিক্ষক নির্ধারিত মেয়াদের পর ফ্ল্যাট না ছাড়লে নির্ধারিত ভাড়ার তিনগুন দিয়ে অবস্থান করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে একটি ত্রুটিপুর্ণ আইনের মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সম্মানহানি করা মোটেই উচিত নয়। শিক্ষকদের নতুন আবাসনের ব্যবস্থা না করে ত্রুটিপূর্ন আইনের প্রয়োগ হচ্ছে। আমরা চাই অতিদ্রুত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য নতুন ডরমেটরি নির্মাণ করে আবাসন সমস্যার সমাধান হোক।
এমন ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় নীতিমালায় যথাযথভাবে কর্তৃপক্ষের নোটিশ পেয়ে বরাদ্ধ বাতিল হওয়া সহকর্মীদের অবহিত করেছি এবং সে অনুযায়ী স্ত্রী-সন্তান, মালামাল আসবাবপত্র নিয়ে রুমে উঠতে আসছি কিন্তু আমার রুম আমি বুঝে পাচ্ছি না। অরক্ষতি অবস্থায় মালামাল বাইরে রেখে নান দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের এবং ভাড়া বাসা ছেড়ে দেওয়ায় বর্তমানে আমাদের গেস্টরুমে অবস্থান করতে হচ্ছে।
বরাদ্ধ বাতিল হওয়া এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আমার ব্যক্তিগত কারণে বাসা ছাড়তে বিলম্ব হচ্ছে। এই বিষয়ে আমি অবগত হয়েছি কয়েকদিনের মধ্যে বড় বাসা পেয়ে গেলেই ফ্ল্যাট ছেড়ে দেব।
আরও পড়ুন