ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

নিরাপদ সড়কের দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ

প্রকাশিত : ১৭:২৫, ২০ মার্চ ২০১৯

নিরাপদ সড়কসহ আট দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ রাজধানীর পুরান ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেছে। শিক্ষার্থীদের অবরোধে অচল অবস্থায় পরিণত হয়েছে পুরান ঢাকার বিভিন্ন রাস্তাঘাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠা ফলে ভোগান্তির স্বীকার হয়েছে সাধারণ মানুষ।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা একত্র হয়ে মিছিল নিয়ে পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার ও তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ করে রাস্তায় বসে পড়ে।

পরে  শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কসহ আট দফা দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মুখরিত করে তুলে সড়কের বিভিন্ন মোড়। তখন পুরান ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও এ আন্দোলনে যোগ দিতে শুরু করে। আর বেলা বাড়ার সাথে সাথে সমস্ত এলাকায়  তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে সদরঘাট টু গুলিস্তান ও গুলিস্তান টু মাওয়া ঘাট সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আর তাতে অচল অবস্থায় পরিণত হয় পুরান ঢাকার বিভিন্ন রাস্তাঘাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। পরে বেলা ১টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে উঠে যায়।

এ সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সুনিদির্ষ্ট কিছু দাবি করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে থেকে জবি শিক্ষার্থী রাসেল ও সাঈদ এ দাবিগুলো তুলে ধরেন। অবিলম্বে আবরার হত্যার বিচার করতে হবে। সেই সাথে অতিশ্রীঘ্রই পরিবহণ আইন সংস্কার করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সকল স্থানে আন্ডারপাস, স্পিড ব্রেকার এবং ফুট ওভারব্রীজ নির্মাণ করতে হবে। সাতদিনের মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতে হবে। প্রতি মাসে বাসচালকের লাইসেন্সসহ সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেক করতে হবে। ছাত্রদের হাফ পাস (অর্ধেক ভাড়া) অথবা আলাদা বাস সার্ভিস চালু করতে হবে। ট্রাফিক পুলিশকে সবোর্চ্চ আইন প্রয়োগ করতে হবে। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে হবে। সকল সিটিং সার্ভিস বন্ধ করতে হবে। 

এদিকে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় ভোগান্তিতে পরে সাধারণ যাত্রীরা। পায়ে হেটেই গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।

সেলিম নামের একজন জানান, চাঁদপুর থেকে আসার পর দেখি সদরঘাট এলাকায় শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে আছে। রাস্তায় কোন প্রকার যান চলাচল করছে না। এমনকি রিক্সাও চলছে না। তাই বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটেই গুলিস্থান যাচ্ছি।

আন্দোলনরত জবি শিক্ষার্থী এপিএম সুহেল বলেন,আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়  সব সময় ন্যায় ও নৈতিক সকল দাবির সাথে ছিলাম। সেই ধারাবাহিকতায় আবারও নিরাপদ সড়ক আন্দোলন করছি। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন,আবরার নামের এক শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের ঘটনায় সহমর্মিতা জানানোর জন্য দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আমাদের শিক্ষার্থীরা নিরাপদের সড়কের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে।

কেআই/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি