হাজী দানেশে স্বাধীনতা দিবস পালিত
প্রকাশিত : ১৭:২০, ২৬ মার্চ ২০১৯
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদা ও দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০১৯ পালিত হয়েছে।
দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ ) সকাল ৬ টা ৪০ মিনিটে প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.মু.আবুল কাসেম-এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা,কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে স্বাধীনতা দিবসের র্যালী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।
র্যালি শেষে সকাল সাড়ে ৯টায় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর ছাত্র পরামর্শ বিভাগের সহকারী পরিচালক মিসরাত মাসুমা পারভেজ এর সঞ্চালনায় ক্রমান্বয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি, ছাত্রলীগ হাবিপ্রবি শাখার নেতৃবৃন্দ, কর্মচারিগণ,হাবিপ্রবি স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের বাণী পাঠ ও বিতরণ করা হয়।
ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম তার বাণীতে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলা হয়, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত ও পরিচালিত হয়েছিল। ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ সম্ভ্রম হারা মা-বোনকে কৃতজ্ঞতা জানান।
এছাড়া পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাসহ জীবিত সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি যাঁদের অশেষ ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের এই স্বাধীনতা। তিনি আরও বলেন,“মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল একটি গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া। যার মর্মকথা ছিল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক সব ধরনের অবিচার ও বৈষম্য থেকে মানুষের মুক্তি। সে লক্ষ্য অর্জনে বর্তমানে জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অদম্য গতিতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উপনীত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উপগ্রহের কার্যক্রম শুরু হয়েছে, পদ্মা সেতু, পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গভীর সমুদ্র বন্দরসহ মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে। গ্রামের সাধারণ মানুষ আধুনিক সুযোগ সুবিধা পেতে শুরু করেছে। শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন প্রভৃতির প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রগতি বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে”। তিনি এসকল সাফল্যের জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
বানী পাঠ শেষে ভাইস-চ্যান্সেলর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৯ উপলক্ষে দেয়ালিকা উন্মোচন এবং শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
এরপর শিক্ষক বনাম শিক্ষক, কর্মকর্তা বনাম কর্মকর্তা, কর্মচারী বনাম কর্মচারী, ছাত্র বনাম ছাত্রের মধ্যে প্রীতি ভলিবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষক বনাম শিক্ষিকা, ছাত্রীর মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় মিউজিক্যাল চেয়ার। শিশুদের জন্য বিস্কুট দৌড় এবং সকলের জন্য যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। খেলাধুলা শেষে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। বাদ যোহর শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কমনা করে কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে আলোক-সজ্জার ব্যবস্থা করা হয়।
উল্লেখ্য,দিবসটি পালনে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রাজিব হাসান ও উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ বেলাল হোসেন।
কেআই/
আরও পড়ুন