জাবিতে পহেলা বৈশাখের প্রস্তুতি
প্রকাশিত : ১৫:৫১, ৯ এপ্রিল ২০১৯
বাংলার নতুন বছরের প্রথম সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বর্ষবরণে উন্মুখ বাঙালি নানা প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে অপেক্ষা করছে পহেলা বৈশাখের। সর্বজনীন এই উৎসব ঘিরে এবং নতুন বছরকে বরণ করতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) চারুকলা বিভাগেও চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
জাবির চারুকলা বিভাগে দেখা যায়, পহেলা বৈশাখের প্রস্তুতিতে সেখানকার শিক্ষার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করছে। বাংলার নতুন বর্ষকে বরণ উৎসবের আর মাত্র পাঁচদিন বাকি। তবে জাবির চারুকলা বিভাগের ভেতরে ঢুকলে বাংলা নতুন বছর আসতে যে আরও পাঁচদিন বাকি আছে সেটা বোঝার উপায় নেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু চারুকলা বিভাগ নয়, অধিকাংশ বিভাগেই চলছে নিজ নিজ উদ্যোগে বর্ষবরণ প্রস্তুতি।
বরাবরের মতো এবারও বর্ষবরণের অন্যতম অনুষঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা ১৪ এপ্রিল সকাল ১০টায় অমর একুশে প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হবে। জাবির বর্ষবরণে এবারের প্রতিপাদ্য ‘আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে’।
চলতি মাসের শুরু থেকে চলতে থাকা এই প্রস্তুতিযজ্ঞ এখন প্রায় শেষের দিকে। মঙ্গল শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের নানা অনুষঙ্গের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলতে হাতপাখা, মাছ, প্রজাপতি, লোকজ সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে পালকি, ঘোড়া, হাতি, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুনসহ বাঘ ও প্যাঁচার ছোট-বড় হরেক রঙের বিভিন্ন মুখোশ তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে সবাই। শিক্ষার্থীরা মিলে আঁকছে নানা রকম ছবিও। কেউ ব্যস্ত ডামি তৈরিতে। এ সব কাজে ভালোলাগার বহিঃপ্রকাশ আর আবেগের যেন কমতি নেই কারও মাঝে।
চারুকলার এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বাংলা বর্ষবরণ আমাদের প্রাণের উৎসব, এটি কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের বা গোষ্ঠীর উৎসব নয়। কিন্তু যারা একে একটি ধর্মের উৎসব বলে এই উৎসবের সর্বজনীনতা নষ্ট করে তাদের সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। পহেলা বৈশাখ আমাদের বাঙালি জাতির নিজস্ব সংস্কৃতি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বর্ষবরণের আগের দিন শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চারুকলা বিভাগের আয়োজনে নতুন কলাভবনের সামনে মহুয়াতলায় অনুষ্ঠিত হবে বর্ষবিদায়ের অনুষ্ঠান চৈত্রসংক্রান্তি। এতে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে থাকবে নাচ, গান, কবিতা। আর মূল আকর্ষণ থাকবে ব্যাঙের বিয়ে। মুক্তমঞ্চ প্রাঙ্গণে দুই দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলা চলাকালে সংগীত, নৃত্য ও নাটকসহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও রয়েছে।
আরও পড়ুন