কুবিতে ছিনতাই ও মাদকের আড্ডার আসর
প্রকাশিত : ১৫:৪৪, ২৫ আগস্ট ২০১৯ | আপডেট: ১৫:৫৩, ২৫ আগস্ট ২০১৯
প্রতিষ্ঠার ১৩ বছরেও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়নি। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানার ভিতরে ছিনতাই,মাদকসেবীদের আড্ডা ও অপরাধমূলক কাজে ক্যাম্পাসকে ব্যবহার করছেন বহিরাগতরা। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা।
ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায় শিক্ষা ভবনের পিছন দিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের পিছনের দিকে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল পর্যন্ত নেই কোন সীমানা প্রাচীর। নিরাপত্তাকর্মী থাকলেও প্রাচীর না থাকায় ক্যাম্পাসের ভিতরে ছিনতাই, মাদকের আসর বসছে নিয়ম করে।
গত ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় অর্থনীতি বিভাগের ১২ ব্যাচের দুই ক্যাম্পাসের ভিতরে ছিনতাইয়ের শিকার হন। বহিরাগত একদল সন্ত্রাসী অস্ত্র তাদের মোবাইল ও টাকা ছিনতাই করে নেয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় বহিরাগতদের অস্ত্রের মুখে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা বলে জানা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্তত চারজনের মতো শিক্ষার্থী একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এখন বহিরাগত সন্ত্রাসী ও মাদকসেবীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। ক্যাম্পাসের মধ্যেই চলে মাদক সেবন ও কেনাবেচা। এ বিষয়গুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নজরে বারবার আনা হলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে কর্তৃপক্ষ।’ ক্যাম্পাস হবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ সেখানেই নিরাপত্তার অভাব বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।অন্যদিকে নিরাপত্তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির তৎপড়তা তেমন একটা চোখে পড়ে না।
জানা যায়, রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ ও সীমানা প্রাচীরের পাহাড়গুলোতে বসে মাদক সেবনের মহাৎসব। সম্প্রতি শহীদ মিনারের বেধিতে বহিরাগতদের মাদক সেবনের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও বহিরাগত মাদকসেবী ও ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রসঙ্গ জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘মাদক সেবনকারী ও ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট আইন শৃংখলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে।’ নতুন প্রকল্প পাশ করিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হবে বলে জানান তিনি।
এমএস/টিআর/
আরও পড়ুন