স্বামীর সাথে `অভিমান`, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
প্রকাশিত : ২৩:৪৩, ২৯ আগস্ট ২০১৯

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জারমিন আক্তার জুঁই গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে ।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকালে চরপাড়ার শেখ মঞ্জিল ছাত্রী মেসের ২য় তলায় জানালার গ্রিলে ওড়না প্যাঁচিয়ে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
মেস মালিকের মেয়ে সোমা (১৭) জানায়, বিকেল ৫টায় মেস মালিকের (সোমার বাবা) ফোনে জুঁই এর স্বামী পরিচয়ে একটি ফোনকল আসে এবং জানতে চায় জুঁই ঠিক আছে কিনা। এই খবরে সন্দেহ সৃষ্টি হলে মেস মালিক দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে কয়েকজনের চেষ্টায় দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে দেখে জানলার গ্রিলে ওড়না পেচিয়ে ফাঁস নিয়ে ঝুলে আছে জুঁই।
খবর পেয়ে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে যায় ও লাশ নামিয়ে পরিচয় ও তথ্যাদি সনাক্ত করে ।
এসময় একটি চিরকুট সহ দুটি মোবাইল ও একটি ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। চিরকুটে মেয়েটির স্বাক্ষরসহ লিখা ছিলো, 'আমার মৃত্যুর জন্যে কেউ দায়ী নয়।' পরিচয় সনাক্ত করে জানা গেছে, জুঁই জামালপুর জেলার সদর উপজেলা নিবাসী জুলহাস হোসেন (৪৫) এর মেয়ে।
প্রতক্ষদর্শী ও সূত্র মতে জানা যায় জুঁই এর সাথে জামালপুর জেলার শিমুল নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় যা জুঁই এর মা সেলিনা বেগম অবগত ছিলেন । আজ দুপুরেও জুঁই এর সঙ্গে শিমুল এর কথা হয় এবং আত্মহত্যার কথা বলে। সেই কারনেই শিমুল মেস মালিককে ফোন দিয়ে খবর নেয় । তবে অভিযোগ রয়েছে শিমুল এর পূর্বেও অন্য একজনকে বিয়ে করেছে। শিমুল বর্তমানে ত্রিশাল থানায় রয়েছেন বলেও জানান এক পুলিশ কর্মকর্তা।
প্রাথমিক তদন্তে অপমৃত্যু হিসেবে দেখছে পুলিশ । অপমৃত্যু হিসেবেই মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে। মৃতের লাশ প্রাথমিক তদন্তে শেষে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হবে। ডাক্তারের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বুঝা যাবে চূড়ান্ত ভাবে। মৃতের পিতা মাতা খবর পেয়ে আসছে বলেও জানায় পুলিশ কতৃপক্ষ।
এ বিষয়ে প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন আত্মহত্যাও একটি হত্যাকান্ড। পুলিশ তদন্ত শেষে আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা রাখি। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার শোকাহত এবং সেই পরিবারের প্রতি আমাদের শোক ও সমবেদনা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান ত্রিশাল থানায় গিয়ে মৃত জারমিন আক্তার জুঁই কে দেখে আসেন এবং পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানায়। এসময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি সহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন ।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে ত্রিশাল থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন