অবশেষে জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বশেমুরবিপ্রবি
প্রকাশিত : ২১:২৫, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ২১:২৮, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯
গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী ও একটি জাতীয় দৈনিকের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ফাতেমা-তুজ-জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। নানা নাটকীয়তার পর বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রফেসর ড. নুর উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
ওই অফিস আদেশে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপত্তিকর লেখালেখি এবং প্রশাসনকে বিব্রত করার জন্য সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্ষমা চেয়ে আবেদন এবং বিভাগীয় একাডেমিক কমিটি তথা বিভাগের সকল শিক্ষক উক্ত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং জিনিয়ার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত আবেদন দিয়েছেন। শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ বিবেচনায় এনে এবং বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আবেদন আমলে নিয়ে ফাতেমা-তুজ-জিনিয়ার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রত্যাহার করে তার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
এর আগে ওই শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করলে এ নিয়ে স্যোশাল মিডিয়াসহ সারাদেশে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্র্থীরা প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করে।
এদিকে,সাময়িকভাবে বহিস্কৃত শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়া বলেন,‘আমি কোন খেলার পুতুল না। ইচ্ছা করলে বহিষ্কার, ইচ্ছা করলে প্রত্যাহার। এটা আমি মানি না। আমার ডিপার্টমেন্ট ক্ষমা চেয়ে নাকি আমার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করিয়েছেন। আমি অন্যায় করিনি, কাউকে ক্ষমা চাইতেও বলিনি। তারা উপযাজক হয়ে যা করেছে তা আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমার নামে মিথ্যাচার করেছে এবং আমার পরিবারকে হেয় করেছে'।
আইন বিভাগের ডিন মো. আব্দুল কুদ্দুস মিয়া বলেন, ‘ও(জিনিয়া) আমাদের সন্তানের মতো। ওর বয়স কম। তাই আমরা ওর ভবিষতের কথা চিন্তা করে শিক্ষকরা সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশাসনের কাছে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করি। আবেদনের প্রেক্ষিতে ফাতেমা তুজ জিনিয়ার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যলয় প্রশাসন।’
এমএস/কেআই
আরও পড়ুন