কর্তৃপক্ষের অবহেলায় রাবি’র জিমনেশিয়ামের বেহাল দশা
প্রকাশিত : ১৬:০৩, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
বৃষ্টি নামলেই টিনের ফুটো দিয়ে পানি পড়ে, অনুশীলন ও শরীর চর্চায় সমস্যা হয়। স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ, নেই চাহিদামত সরঞ্জামাদি। যা আছে তা দেখভালের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমনই দশা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়ামের। ভিতরের বৈদ্যুতিক বাতি নষ্ট থাকায় এবং সাপ্তাহিক ছুটিতে বন্ধ থাকায় অনুশীলনে বিঘ্ন ঘটে।
এতে ব্যাহত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাথলেটসদের অনুশীলন ও শরীর চর্চা বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য নেই স্বতন্ত্র শৌচাগার। জিমনেশিয়ামের ভিতর পরিত্যক্ত শৌচাগারে রয়েছে সাপের আস্তানা। এমনকি জিমনেশিয়ামের সামনের মাঠে ও চারপাশে জঙ্গল থাকায় সাপের ভয়ে খেলাধুলা ও শরীর চর্চা করতে ভয় পায়। জিমনেশিয়ামের পাশেই রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বাস্কেটবল কোর্টটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে, সেখানে ফেলা হয় ময়লা- আবর্জনা। কর্তৃপক্ষের নোটিশ থাকা সত্বেও বহিরাগতরা জিমনেশিয়ামে অনুপ্রবেশ করছে অনবরত।
জিমনেশিয়ামে অনুশীলনরত কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, ‘জিমনেশিয়ামের পাশেই রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বাস্কেটবল কোর্টটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে, সেখানে ফেলা হয় ময়লা-আবর্জনা। বৃষ্টি নামলেই টিনের ফুটো দিয়ে পানি পড়ে। এতে ব্যাহত হয় অনুশীলন ও শরীর চর্চা। আগামীতে টুর্নামেন্ট আছে তাই এই স্যাঁতসেঁতে কোর্টেই প্রস্তুতি নেয়া ছাড়া উপায় নেই। জিমনেশিয়ামের ভিতর পরিত্যক্ত শৌচাগারে রয়েছে সাপের আস্তানা! এমনকি জিমনেশিয়ামের মাঠের চারপাশে জঙ্গল থাকায় সাপের ভয়ে খেলাধুলা ও শরীর চর্চা করতে ভয় পাই।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীর চর্চা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো.আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বহিরাগতরা যাতে জিমনেশিয়ামে অনুপ্রবেশ করতে না পারে তার জন্য নোটিশ বোর্ড টানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার চিঠি দিয়েও এ বিষয়ে কোন ব্যাবস্থা নিচ্ছে না। পুরনো অবকাঠামোতেই চলছে জিমনেশিয়ামের কার্যক্রম। অত্যাধুনিক ও চাহিদা অনুযায়ী সরঞ্জামাদি না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী জিমনেশিয়াম বিমুখ হয়ে পড়ছে। এছাড়াও আগামী বছর জানুয়ারি মাসে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট এর ভেন্যু রাবি জিমনেশিয়াম। তাই অতি দ্রুত সংস্কার ও উন্নয়ন না করা গেলে টুর্নামেন্ট নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. লায়লা আরজুমান বানু বলেন, ‘জিমনেশিয়ামের অবকাঠমো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজগুলো অতিদ্রুত শুরু করা হবে এবং ভিতরের কক্ষগুলো সংস্কার করা হবে। জিমনেশিয়ামের দক্ষিণ পাশে মাঠের জঙ্গল পরিষ্কার করে খেলাধুলার উপযোগী করে তোলা হবে।’
এমএস/
আরও পড়ুন