ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

টেন্ডার পেতে বিসিএসআইআর পরিচালককে রাবি কর্মচারির হুমকি!

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৬:৩৩, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৬:৩৪, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

টেন্ডার পেতে রাজশাহী বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণাগারের (বিসিএসআইআর) পরিচালক ড. মো. ইব্রাহিমকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেট দপ্তরের উচ্চমান সহকারী মো. আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রোববার রাবি ভিসির নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন পরিচালক ড. ইব্রাহিম। 

অভিযুক্ত মো. আনোয়ার, মেসার্স এ.এস.এম ট্রেডার্সের মালিক। নগরীর মতিহার থানার বিনোদপুরের ডাশমারী গ্রামের মৃত মতলেব আলীর ছেলে।    

অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, আনোয়ার হোসেন রাজশাহী মেসার্স এ. এস.এম ট্রেডার্সের নামে প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ও সরবরাহকারী হিসেবে গবেষণাগারে গত ৮ সেপ্টেম্বর উলুখড় নিলামে দরপত্র প্রদান করেন। এরপর থেকেই তার প্রতিষ্ঠানের নামে নিলাম পেতে রাজনৈতিকসহ বিভিন্নভাবে ফোনে হুমকি প্রদান করে আসছেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিসিএসআইআর আঙ্গিনায় গবেষণা মাঠ ও আবাসিক এলাকার দক্ষিণ চত্ত্বরে গজানো উলুখড় নিলামে বিক্রয়ের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে ১১ শর্ত পূরণ করে দরপত্র আহ্বান করা হয়। সেখানে শর্ত পূরণ না হওয়ায় মেসার্স এ.এস.এম ট্রেডার্স ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি বাতিল বলে গণ্য হয়। এরপর থেকে গবেষণা কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিতে থাকে আনোয়ার।
 
অভিযোগ রয়েছে, সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ঠিকাদারি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন আনোয়ার। যদিও সরকারি চাকুরি বিধি ১৯৭৯ এর ১৭ ধারায় বলা আছে, কোন সরকারি কর্মকর্তা সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে সরকারি কার্য ব্যতীত অন্য কোনও ব্যবসায় জড়িত হতে অথবা অন্য কোনও চাকরি বা কার্য গ্রহণ করতে পারবেন না।

বিসিএসআইআর পরিচালক ড. মো. ইব্রাহিম বলেন, গবেষণাগারের নিলাম সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম প্রকৌশল শাখা এবং নিলাম কমিটি নিয়ম মতো পরিচালনা করে থাকে। এ প্রক্রিয়ায় একক কর্তৃত্ব বা অনিয়ম দুর্নীতি করার সুযোগ নেই। এরপরও ভয়ভীতি দেখিয়ে আনোয়ার টেন্ডার পেতে চায়। এরই প্রেক্ষিতে রাবি ভিসির নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আনোয়ার পরিচালককে হুমকি-ধামকির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার কোনও ট্রেড লাইসেন্স নেই। তবে প্রতিবেদকের কাছে তার ট্রেড লাইসেন্সের কপি হাতে এসেছে। 

এ বিষয়ে জানতে রাবি ভিসি প্রফেসর ড. এম আব্দুস সোবহান-এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. এম এ বারী জানান, বিসিএসআইআর পরিচালককে হুমকি দেয়ার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

সরকারি চাকরিতে থেকে ঠিকাদারি করার বিষয়ে তিনি জানান, এ বিষয়ে অবগত করে ট্রেড লাইসেন্স নেয়নি। তথ্য ফাঁকি দিয়ে করতে পারে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে এ বিষয়েও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

সরকারি চাকুরীজীবী হিসেবে ঠিকাদারি করতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রাজশাহী কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মুন্না সাহা বলেন, পাবলিক সার্ভিস রুল অনুযায়ী সরকারি চাকুরি থেকে ঠিকাদারি করতে পারবে না। অর্থাৎ কোন সরকারি কর্মচারী একইসঙ্গে সরকারি দু'টি সুবিধা ভোগ করতে পারবে না।
 
আই/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি