বেরোবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে ভাবমূর্তি ক্ষুন্নের অভিযোগ
প্রকাশিত : ১৬:১৯, ৩ অক্টোবর ২০১৯
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ’র বিরুদ্ধেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগ তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক খাইরুল কবির সুমন স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপাচার্যের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে তারা প্রতিবাদ জানান।
প্রতিবাদলিপিতে শিক্ষক সমিতির নেতারা উল্লেখ করে বলেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর এটিএন নিউজ আয়োজিত 'নিউজ আওয়ার এক্সট্রা’ শিরোনামে টকশো প্রচারিত হয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে নানা ধরণের অসত্য কথা বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
শিক্ষক নেতারা বলেন, অসংখ্য জালিয়াতচক্র শত চেষ্টা করেও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সুনাম যেখানে টলাতে পারেনি সেখানে উপাচার্য অবলীলায় ভর্তি বাণিজ্যের কালীমা লেপন করেছেন।
যার মধ্য দিয়ে জাতির সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমুর্তি ভূ-লুষ্ঠিত হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার সুনামের জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের মাথা উঁচু থাকে, মিথ্যাচারের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাথা চরমভাবে নীচু করা হয়েছে। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের নিকট লজ্জিত।
শিক্ষক সমিতির নেতারা আরও উল্লেখ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকান্ড সম্পূর্ণরুপে ঢাকায় স্থানান্তর করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা ব্যবস্থা যে যে সমস্যায় নিমজ্জিত হয়েছে তা উপাচার্য অবগত করাটা ছিল সাধারণের জন্য সময়ের দাবি। এরই প্রক্রিয়া হিসাবে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতি সর্বসম্মতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ বিবেচনাপূর্বক উপাচার্য বরাবর ১৮ দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করে। এই ১৮ দফার বিষয় উপাচার্য মহোদয় মিডিয়ার সম্মুখে যে তথ্য প্রদান করেছেন তা সম্পূর্ণরুপে অসত্য।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক সমিতির নেতারা আরও বলেন, উপাচার্য লাগাতার ক্যাম্পাসে অনুপস্থিতি, অনিয়ম এবং স্বেচ্ছাচারীতা অভিযোগকে আড়াল করতেই শিক্ষক সমিতির নামে মিথ্যাচার করছেন বলেও অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ’র সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আরকে//
আরও পড়ুন