ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

ঢাকা কলেজ ক্যাফেটেরিয়ায় নিম্নমানের খাবারে উচ্চমূল্য

ঢাকা কলেজ সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ২০:১৯, ৫ অক্টোবর ২০১৯

নানান সমস্যায় জর্জরিত ঢাকা কলেজ ক্যাফেটরিয়া। নিম্নমানের খাবারে উচ্চমূল্য, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা না থাকা, পর্যাপ্ত আসনের অভাব, লোকবলের অভাব, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি ক্যাফেটরিয়াটির নিত্য নৈমিত্তিক চিত্র। ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর ক্যাম্পাসে মাত্র একটি ক্যাফেটেরিয়া। টেন্ডারের মাধ্যমে মাসিক ভাড়া ভিত্তিক চুক্তিতে ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে চলে এটি। ফলে বেশি দামে নিম্নমানের খাবার কিনে খেতে বাধ্য হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, ক্যাম্পাসের বাইরে খাবারের দাম আর ক্যান্টিনের খাবারের দাম প্রায় সমান। অনেক সময় টানা ক্লাস বা পরীক্ষা থাকায় বাধ্য হয়েই ক্যাফেটেরিয়ার খাবার গ্রহণ করতে হয়। ক্যাম্পাসের আবাসিক পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য হলের ডাইনিংয়ে দুপুর আর রাতের খাবারের ব্যবস্থা থাকলেও সকালের খাবারের জন্য সবাইকে ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের ওপরই নির্ভর করতে হয়।

তাছাড়া ক্লাস করতে আসা বাকি ২০ হাজার অনাবাসিক শিক্ষার্থীদেরও সকাল ও দুপুরের খাবারের জন্য ভরসা রাখতে হয় একমাত্র ক্যাফেটেরিয়ার ওপরই।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আল হাসিব বলেন, কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের ক্যাফেটেরিয়া কোনও প্রকার ভর্তুকি দেয়া হয় না। যার ফলে বাহিরের এবং ভেতরের খাবারের দামের মধ্যে কোনও তফাৎ থাকে না। আমারা চাই প্রশাসন ক্যাফেটেরিয়াতে ভর্তুকি দিয়ে খাবারের দাম শিক্ষার্থীদের নাগালের মধ্যে রাখুন।

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ বলেন, ক্যাফেটেরিয়ার খাবার মানে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। আর উচ্চমূল্য তো রয়েছেই। বসার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ আসন নেই। নিরাপদ খাবার পানিরও অভাব রয়েছে। দুপুরে ক্লাসের মধ্যবর্তী বিরতিতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির তুলনায় পর্যাপ্ত জায়গা থাকা সত্ত্বেও নেই আসন।

ক্যাফেটেরিয়াটির বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান জামাল অ্যান্ড ব্রাদ্রার্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার সোহাগ সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ক্যান্টিনে খাবারের দাম সহনশীল পর্যায়ে রয়েছে। কলেজ প্রশাসন কোনও প্রকার ভর্তুকি দেয় না। যার ফলে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৮ থেকে ১০ জন কর্মচারীর বেতন ছাড়াও তিনবেলা খাবারের ব্যবস্থা করতে হয় ক্যান্টিনের খাবার বিক্রি করে।

ক্যাফেটেরিয়ার সমস্যার সমাধানে দ্রুত কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে কী না? এ ধরনের প্রশ্নের জবাবে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, আমি অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে খতিয়ে দেখব। আশা করি দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হবে। এছাড়া এখানে অল্প জায়গায় বেশি কিছু করারও সুযোগ নেই। তাই আমরা চাচ্ছি এই ক্যান্টিন ভেঙ্গে এখানে আরও বৃহৎ পরিসরে বহুতল ভবন নির্মাণ করার। আশা করি, শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো দ্রুতই সমাধান হবে।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি