‘শিবির নয়, তাবলীগে যেতেন বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার’
প্রকাশিত : ১৫:১৭, ৭ অক্টোবর ২০১৯ | আপডেট: ১৫:২৯, ৭ অক্টোবর ২০১৯
শিবির করার অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবরার শিবির করতেন না। তিনি তাবলীগে যেতেন।
জানা যায়, আবরারের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে। দুই ভাইয়ের মধ্যে আবরার ফাহাদ বড়। ছোট ভাই আবরার ফায়াজ ঢাকা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। বাবা বরকতুল্লাহ বেসরকারি সংস্থা ব্রাকের কর্মকর্তা। মা স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনে পড়ান।
পরিবার জানিয়েছে, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ছোটবেলা থেকেই মেধাবী। লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকতো সারাদিন। আর বাড়ি থেকে ফেরার দিনই তাকে এভাবে কারা হত্যা করতে পারে তা ভাবতেও পারেননি পরিবারের লোকজন।
আবরারের চাচা মিজানুর রহমান বলেন, সে শিবিরের কর্মী নয়। অথচ এমন কথা রটাচ্ছে সবাই। এটা বানোয়াট, আমরা সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক। হানিফ সাহেবের বিভিন্ন মিটিংয়েও আমরা যাই। আবরার এমনিতে তাবলীগে যেত। বুয়েটে ভর্তির পর দুই-তিনবার সে তাবলীগে গিয়েছিল।
আবরারের প্রতিবেশী ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা বলেন, ‘বরকত চাচা (আবরারের বাবা) ও আর আমার গ্রামের বাড়ি পাশাপাশি। বরকতুল্লাহরা ৫ ভাইয়ের মধ্যে একজন ছাড়া সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থক ছিলেন। আবরারের বাবা বরকত আওয়ামী লীগের একজন পাকা সমর্থক।’
ছুটি কাটিয়ে গতকাল রোববার কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় ফেরেন আবরার। পরে বিকেলের দিকে বুয়েটের হলে পৌঁছেও মাকে ফোন দিয়ে জানান বিষয়টি। মোবাইলে এটিই তার মায়ের সঙ্গে শেষ কথা।
উল্লেখ্য, সোমবার রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলা থেকে ফাহাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ ও তার পরিবার বলছে, ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার গায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। শরীরের পেছনে, বাম হাতে ও কোমর থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত আঘাতের কালো দাগ ছিল। মৃত আবরার ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন।
তবে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে, এ বিষয়ে এখনও কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ ও বুয়েট প্রশাসন। ফাহাদ হত্যায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুয়েটের শেরেবাংলা হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল ও সহসভাপতি ফুয়াদকে আটক করেছ পুলিশ।
এমএস/
আরও পড়ুন