আবরার হত্যায় যা বললেন তার বাবা
প্রকাশিত : ২১:১৮, ৭ অক্টোবর ২০১৯
একদল শিক্ষার্থী রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদকে হল থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে রাত ২টার দিকে হলের দ্বিতীয়তলার সিঁড়িতে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এমন সংবাদ শুনার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে ছুটে আসেন নিহত আবরার ফাহাদের বাবা ও চাচা।
আজ সোমবার বিকেল সাড়ে চারটায় বুয়েটের শেরে বাংলা হলে এসে পৌঁছান বাবা বরকতুল্লাহ ও তার চাচা জহুরুল ইসলাম। সন্তানের মৃত্যুর খবর শুনে সকালে কুষ্টিয়ার নিজ বাড়ি থেকে রওনা দেন তারা। সন্তানের ক্যাম্পাসে এসেছেন কিন্তু সেই সন্তান না ফেরার দেশে চলে গেছে।
সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ ও চাচা জহুরুল ইসলাম তার কথা বলে শুধুই কাঁদছেন। এ সময় চাচা জহুরুল ইসলাম চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে পুলিশের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে আবরারের চাচা বলেন, আপনারা সত্য কথা লিখলে এবং বললে আবরার সঠিক বিচার পাবে। এরপর আবরারের বাবা ও চাচা হল প্রোভোস্টের রুমে যান। প্রভোস্ট তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
সোমবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরার ফাহাদ মুজাহিদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আবরারকে হলের সিঁড়িতে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
সকালে কয়েকজন সহপাঠী অচেতন অবস্থায় আবরারকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছাত্রলীগে ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া আবরার হত্যার ঘটনায় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
টিআর/
আরও পড়ুন