আবরার হত্যার বিচার নিয়ে সংশয় ভিপি নুরের
প্রকাশিত : ০৮:৩৬, ৮ অক্টোবর ২০১৯
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার বিচার নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর। সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা ফুঁসে না উঠলে এই ঘটনায় কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হতো না।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলন ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে ডাকসু ভিপি বলেন, এসব আন্দোলনে চালানো হামলায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অভিযুক্ত হলেও তাদের কোনও বিচার হয়নি। বিচার না হওয়ায় তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে মন্তব্য করে নুরুল হক নুর বলেন, ‘যখন মানুষ ফুঁসে উঠছে, ছাত্ররা ফুঁসে উঠছে তখন দুই চারটি ঘটনার বিচার হচ্ছে’।
আবরার হত্যার ঘটনায় বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার ও বেশ কয়েকজনকে বহিষ্কারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজকে যদি ছাত্ররা ফুঁসে না উঠতো এই ঘটনার কিছুই হতো না’। তবে গ্রেফতারকৃতদের শেষ পর্যন্ত বিচার হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন তিনি।
ফেসবুকের স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে আবরার হত্যাকাণ্ড ঘটেছে দাবি করে ডাকসু ভিপি নুর বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে ক্তি নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনার জের ধরে আবরারকে ডেকে নিয়ে বেদম প্রহার করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে আবরারের মৃত্যু হয়।
তিনি অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগ ডেকে নিয়ে মারতে পারে এমন আশঙ্কায় শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু লিখতে পারছে না।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে আবরার ফাহাদকে রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দুইতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯ জন ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
আরও পড়ুন