হাবিপ্রবিতে বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত
প্রকাশিত : ২৩:২৩, ১৬ অক্টোবর ২০১৯
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(হাবিপ্রবি)'আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ,পুষ্টিকর খাদ্যই হবে আকাঙ্খিত ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী এই প্রতিপাদ্যে বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০১৯ পালিত হয়েছে।দিবসটি উপলক্ষে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের ব্যাপক কর্মসুচি গ্রহণ করা হয়।
কর্মসুচির অংশ হিসেবে বুধবার(১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে এক বর্নাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ শেষে টিএসসি'র সামনে এসে শেষ হয়। পরে টিএসসি ভবনের নীচতলায় ফুড এন্ড প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তির ব্যাবহার করে তৈরিকৃত আদা বিস্কুট, আপেল জ্যাম, আনারস জ্যাম,মিক্সড ফুড জুস,ব্যানানা মিল্কশেক সহ প্রায় ২০ ধরনের খাদ্য প্রদর্শনীর ঘুরে দেখেন অতিথিবৃন্দরা।
এসময় অথিতিবৃন্দ উদ্ভাবিত খাদ্যসমুহের প্রসংশা করার পাশাপাশি বাজারজাতকরণের ওপর জোর প্রদান করেন।
কাওসার আহমেদ কাননের সঞ্চলানায় সেখানে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যপক ড. মো.শাহনেওয়াজ আলী।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. ফজলুল হক,পরিকল্পনা ও কাজ উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড.মো.মোস্তাফিজুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মারুফ আহমেদ প্রমুখ। এসময় ফুড এন্ড প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. শাহ্ নওয়াজ আলী বলে, বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ।আমাদের বাবা-মা সবাই কৃষির সাথে জড়িত।বর্তমানে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্নতা অর্জন করেছি।এতে কৃষি ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর অবদান অনস্বীকার্য। দেশে যখন মাত্র ৭ কোটি জনসংখ্যা ছিল সেই সময় খাদ্য ঘাটতি ছিল। কিন্তু বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি তারপরও খাদ্য ঘাটতি নেই।এখন আমরা বিভিন্ন ধরনের খাদ্য বিদেশে রপ্তানি করছি।বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক চেষ্টা আর নেতৃত্বের কারনে বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নের পাশাপাশি কৃষিতে অভুতপুর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে । এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আমাদের স্বাধীনতা স্বপক্ষে কাজ করে যেতে হবে ।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম বলেন, হাবিপ্রবি এখন আর কোন দিকেই পিছিয়ে নেই। নিত্য নতুন গবেষণা ও যন্ত্র উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে। ফুড এক্সিবিশনের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা গবেষণা করে যে খাবারগুলো তৈরি করেছে তা উন্নতমানের ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। মার্কেটিং এর মাধ্যমে এগুলো বাজারজাত করার উদ্যোগ নিলে সাধারণ মানুষও এর সুবিধাভোগ করতে পারবে। কারণ এখন দেশের বেশিরভাগ মানুষ ভেজাল খাদ্যের কারনে নানাবিধ জটিল জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে । তাই বেশি বেশি গবেষণা আর ভালো কাজের মাধ্যমে আমাদের এ জায়গা থেকে বের হয়ে এসে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাকে নিশ্চিত করতে হবে ।
আলোচনা সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-২ তে বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০১৯ এর গুরুত্ব ও তাৎপর্যের ওপর একটি সেমিনারের অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করে।
কেআই/
আরও পড়ুন