ঢাকা, শনিবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

যেভাবে চলছে অভিভাবক শূন্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় 

ওবায়দুর রহমান, ববি সংবাদদাতা 

প্রকাশিত : ১৯:৪৫, ২৩ অক্টোবর ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

দীর্ঘ ছয় (৬) মাস ধরে অভিভাবক শূন্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে প্রায় স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। উপাচার্য , প্রো-উপাচার্য, রেজিস্টার, ট্রেজারার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, লাইব্রেরীয়ান সহ প্রধান প্রশাসনিক পদগুলো নেই দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ। উপাচার্য না থাকায় সিন্ডিকেট মিটিং, একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং, অর্থ কমিটির মিটিং সহ গুরুত্বপূর্ণ মিটিংগুলো বন্ধ আছে বিগত ছয় (৬) মাস ধরে । বর্তমানে অচলাবস্থা বিরাজ করছে দক্ষিণবঙ্গের এই সর্বোচ্চ বিদ‍্যাপিঠটিতে। 

কার্যত বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বিভাগীয় চেয়ারম্যানরা। সাইন অথোরিটি না থাকায় আর্থিক ভাবে অচল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষক,কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন-ভাতাও আটকে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি অনুষদের মধ্যে একটি ছাড়া বাকিগুলোর ডিনের দায়িত্ব পালন করেন উপাচার্য। ফলে ওইসব বিভাগের পরীক্ষা, ফলাফল প্রকাশসহ সব কার্যক্রম স্থবির রয়েছে। অর্থ ছাড়ের অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে। 

ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ‍্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক আবু জাফর  মিয়া বলেন,  উপাচার্য  না থাকায় একাডেমিক, অর্থ ও সিন্ডিকেট সভা  হচ্ছে না ছয় মাস ধরে। খণ্ডকালীন  শিক্ষকও  নিয়োগ  হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের  শৃঙ্খলা ভেঙে  পড়েছে। উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া খুবই জরুরি। আমরা বিভাগীয় চেয়ারম্যানরা আমাদের সাধ‍্যমতো চেষ্টা করছি একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া। কিন্তু সিলেবাস প্রণয়ন, ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়া এবং ফলাফল প্রকাশ করার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো আমরা নিতে পারছি না ।

ইতিহাস ও সভ‍্যতা বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাতেন চৌধুরী বলেন, উচ্চপদস্থ সকল পদই শূন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য না থাকলে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে  স্হবিরতা দেখা দেয়। পরীক্ষার রুটিন করা সম্ভব হয় না, ফলে পরীক্ষা নিতে বিলম্ব হয়। যার ফলশ্রুতিতে সেশনজট চরম পর্যায়ে পৌছায়। পরীক্ষা ফলাফল প্রকাশ করা যায় না। সর্বপরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার উন্নয়নমূলক কাজে স্হবিরতা দেখা দেয়।  উপাচার্য না থাকায় শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের চলতি মাসের বেতন-ভাতা আটকে আছে বলে জানান তিনি। তিনি আশা করেন সরকার দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অচলাবস্থা নিরসন করবেন। 

নিয়মিত উপাচার্য না থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে গা-ছাড়া ভাব বিরাজ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ , একে আন‍্যের দিকে কাঁদা ছোড়াছুড়ি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে উপাচার্য না থাকার সুযোগে আনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কোন নিয়মের তোয়াক্কা করছেন না। যা ইচ্ছা তাই করছেন। এ বিষয়ে তাদের তদারকি করার মতো কেউ নেই বলে জানান তিনি।  

আরকে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি