অধ্যক্ষকে তুলে নিয়ে পুকুরে ডুবালো ছাত্ররা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ২০:০৫, ২ নভেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ২৩:২৯, ২ নভেম্বর ২০১৯
রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদকে তুলে নিয়ে পুকুরে ডুবালো ছাত্ররা। তবে সাঁতার জানার কারণে তিনি এ যাত্রা রক্ষা পান বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ।
শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে নিজ কার্যালয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন ছাত্ররা তাকে ধরে চ্যাঙ্গদোলা করে তুলে নিয়ে গিয়ে ১২ থেকে ১৫ ফুট গভীর পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, ‘বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের ছেলেরা অন্যায় দাবি নিয়ে আসতো আমার কাছে। সে সব দাবি না মানায় তারা আমার উপর ক্ষুদ্ধ ছিল। তাদের দাবিগুলো মানার মত নয়।’
অধ্যক্ষ আরও বলেন, ক্লাসে উপস্থিতি কম থাকায় দুইজন ছাত্রের ফরম ফিল-আপ হয়নি। সেই দুই ছাত্রের ফরম পুরণ করানোর জন্য সকালে কয়েকজন আমার কাছে এসেছিল। কিন্তু আমি বিভাগীয় প্রধানের কাছে যেতে বলি। এ সময় তারা আমাকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে। এতে আমি তাদের উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে কয়েকটা কথা বলি। এরপর তারা আমার উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে বের হয়ে যায়।
অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীন বলেন, দুপুরে নামাজ পড়ে অফিসে যাওয়ার সময় কামাল হোসেন সৌরভ আমার পথ আটকে দাড়িয়ে বলে, স্যার কথা আছে। একটু পুকুরের ধারে আসেন। এসময় আমি যেতে না চাইলে তারা আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়। এরপর তারা পালিয়ে যায়। তাদের মধ্যে দুইজনের মুখ বাধা ছিল।
অধ্যক্ষ আরও বলেন, যেখানে আমাকে ফেলে দিয়েছে সখানকার পানির গভীরতা ছিল ১২ থেকে ১৫ ফুট। আমি সাঁতার জানতাম বলে বেঁচে গেছি। সাঁতার কেটে পাড়ে চলে এসেছি। সাঁতার না জানলে হয়তো আজই শেষ হয়ে যেতাম। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান রিগেন বলেন, অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলে দেয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগের ছেলেরা জড়িত কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। বিষয়টি আমারা খতিয়ে দেখছি। এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
নগরের চন্দ্রিমা থানার ওসি শেখ গোলাম মোস্তাফা বলেন, খবর পেয়ে পলিটেকনিকে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সিসিটিভির ভিডিও দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এনএস/
আরও পড়ুন