ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির ঘটনায় যবিপ্রবি ভিসির ক্ষমা প্রার্থনা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:০৮, ৪ নভেম্বর ২০১৯

জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃতির ঘটনায় হাইকোর্টে সশরীরে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা।

পরে আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন। একইসঙ্গে, দায় পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৪ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 

আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন জেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান। অন্যদিকে, যবিপ্রবির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কে এম সাইফুদ্দিন আহমেদ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ডেস্ক ক্যালেন্ডারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি অবমাননার অভিযোগে যশোর আদালতে মামলা করেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল।

বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি যথাযথভাবে উপস্থাপন না করায় ২৯ জানুয়ারি যবিপ্রবি ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

তবে উপাচার্য ড.অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ছবি বিকৃতির ঘটনা ঘটেনি। অন্য কেউ ডেস্ক ক্যালেন্ডারে ছবি বিকৃতির দায় চাপাতে চাচ্ছে। রিট আবেদনকারী আনোয়ার হোসেন উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এমন অভিযোগ এনেছেন বলে দাবি করেন তিনি। 

তবে গত ১৫ অক্টোবর ছবি বিকৃতির ঘটনায় হাইকোর্টের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জানায়, অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায় রয়েছে। 

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ডেস্ক ক্যালেন্ডারে জাতির পিতার ছবি ও ২০১৯ সালের ডেস্ক ক্যালেন্ডারে জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যথাযথ দায়িত্বপালন করা হয়নি। এছাড়া, ২০১৮ সালের ক্যালেন্ডারে জাতির পিতার ছবির ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির নাম লেখাও সমীচিন হয়নি। 

প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, ২০১৯ সালের ডেস্ক ক্যালেন্ডার পুনঃমুদ্রিত। আগের (প্রথম) প্রিন্ট করা কপিতে জাতির পিতার ছবি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছিদ্র করে স্পাইরাল বাইন্ডিং করা হয়েছে। এছাড়া, জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃত করা হয়, যা প্রথম মুদ্রিত ডেস্ক ক্যালেন্ডার থেকে স্পষ্টতই প্রমাণ পাওয়া যায়।

আদালত যবিপ্রবির ওই ডেস্ক ক্যালেন্ডার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আনোয়ার হোসেন, রেজিস্টার ইঞ্জিনিয়ার আহসান হাবিব এবং পাবলিক রিলেশন অফিসারকে নির্দেশ দেন।

এআই/এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি