ইডেনে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫
প্রকাশিত : ১৭:১০, ৯ নভেম্বর ২০১৯
আবাসিক হলের সিট নিয়ে রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। আজ শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলে এ ঘটনা ঘটে। ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের একাধিক যুগ্ম-আহ্বায়ক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত মাহবুবা নাসরিন রুপা শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ভুক্তভোগী ও আহত সাবিকুন্নাহার তামান্না কমিটির একজন সদস্য।
সূত্র জানায়, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা হলের ২১৯ নম্বর কক্ষে নাবিলা নামে একজন বহিরাগতকে অর্থের বিনিময়ে রাখতেন ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রুপা। তাকে কেন্দ্র করেই হলের ছাত্রলীগের অন্য গ্রুপের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকজনকে মারধর ও সাবিকুন্নাহার তামান্না নামে একজনের হাতে ছুরি দিয়ে কোপ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে রুপার বিরুদ্ধে। পরে অন্যপক্ষ রুপার গ্রুপের কর্মীদের ওপর পাল্টা হামলা করে। এঘটনায় বহিরাগত নাবিলাকে লালবাগ থানায় হল প্রশাসনের মাধ্যমে সোপর্দ করা হয়।
এদিকে, ঘটনার পর থেকে ইডেন কলেজ গেটে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ইডেন কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘সকাল থেকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে কড়াকড়ি করা হয়।’
জানতে চাইলে ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রুপা বলেন, ‘আমি কোনো সমর্থক তৈরি করিনি যারা কাউকে হামলা করবে বা মারধর করবে। ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আনজুমানারা অনুর সমর্থকরা বঙ্গমাতা হলে গিয়ে আমার চার-পাঁচজন কর্মীর ওপর হামলা করেছে। পরে রাজিয়া হলের ২০৮ নম্বর কক্ষ থেকে আমার আইফোন ও ১৭ হাজার টাকা ছিনতাই করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রথমে খবর পেয়েছিলাম নাবিলা নামের একটা মেয়েকে তারা মারধর করেছে। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গেলে আমাকে মারধর করে কাপড় ছিড়ে দেওয়া হয়। তারা ৬টি হলের প্রত্যেকটি পলিটিক্যাল রুমে গিয়ে রুমের কর্মীদের মারধর করেছে।’নাবিলা তার চাচাতো বোন এবং ইডেন কলেজের ডিগ্রির স্টুডেন্ট বলেও জানান তিনি।
ছাত্রলীগের কলেজ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আনজুমানারা অনু বলেন, ‘আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না, ঘটনার পরে আসছি। আমি কাউকে মারধর করিনি। সিসিটিভির ফুটেজ রয়েছে। আপনি ইডেন কলেজ প্রিন্সিপালের কাছ থেকে জানতে পারেন।’
লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা শুনেছি সংঘর্ষ হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
এআই/আরকে
আরও পড়ুন