ক্লাসে ফিরতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের ৩ দাবি
প্রকাশিত : ২১:০০, ১৪ নভেম্বর ২০১৯
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে নিজেদের বিরত রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
হত্যার ঘটনায় ২৫ জনকে আসামি করে বুধবার আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। চার্জশিট দাখিলের প্রতিক্রিয়ায় বুয়েটের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিনটি দাবি মেনে নিলে তারা ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরে যাবেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বুয়েটের শহীদ মিনারের পাদদেশে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
আন্দোলনকারীদের পক্ষে কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অনিরুদ্ধ গাঙ্গুলি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এতে তিনি তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার শর্তে আসন্ন টার্ম পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা জানান।
তাদের দাবিগুলো হলো:
১.চার্জশিটের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা।
২.আহসানউল্লাহ, তিতুমীর ও সোহরাওয়ার্দী হলের র্যাগের ঘটনায় অভিযুক্তদের অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া।
৩.সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি এবং র্যাগের জন্য সুস্পষ্টভাবে বিভিন্ন ধাপে ভাগ করে শাস্তির নীতিমালা করা। পরে ওই নীতিমালাগুলো বুয়েট একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট থেকে অনুমোদন করে অর্ডিন্যান্সে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পরবর্তী ধাপগুলোতে পাঠানো।
সংবাদ সম্মেলনে অনিরুদ্ধ আরও জানান, মাঠপর্যায়ের আন্দোলন শেষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা করে বুয়েট প্রশাসন। সর্বশেষ গত ২ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক মিজানুর রহমান ও অনুষদগুলোর ডিনদের উপস্থিতিতে একটি সভা হয়।
শিক্ষার্থীরা কখন একাডেমিক কার্যক্রমে ফিরবেন তা ছিল ওই আলোচনার প্রধান বিষয়। সভা শেষে শিক্ষার্থীরা লিখিতভাবে প্রশাসনকে ওই তিনটি দাবির কথা জানান। প্রথম দুটি দাবি পূরণ হলে আসন্ন টার্ম ফাইনাল পরীক্ষার তারিখের বিষয়ে সম্মত এবং পরীক্ষা শুরু হওয়ার অন্তত সাত দিন আগে তৃতীয় দাবিটি পূরণ করা হলে পরীক্ষায় বসবেন বলে জানান তারা।
বুয়েট প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি দাবিগুলোর প্রতি আন্তরিক না হয় এবং প্রতিশ্রুতি পালন না করে তাহলে তারা পরীক্ষায় অংশ নেবেন না। আবরার হত্যা মামলায় আদালতে চার্জশিট দেওয়ার জন্য পুলিশকে ধন্যবাদ দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া মামলাটি দ্রুতবিচার ট্রাইবুনালের মাধ্যমে পরিচালনার ব্যাপারে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ‘ইতিবাচক’ মনোভাব পোষণ করেছেন বলে জানিয়ে আইনমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ দিয়েছেন তারা।
এমএস/এসি
আরও পড়ুন