শিক্ষার্থীকে মারধর : ৩ দফা দাবিতে উত্তাল রাবি
প্রকাশিত : ১৫:১০, ১৬ নভেম্বর ২০১৯
সোহরাব (২২) নামের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে মাথা ফাঁটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। এর বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ শনিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বর্তমান সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে বের হয়ে দেশের জন্য ভাল কিছু করতে পারছে না তারা। ক্যাম্পাসগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর চলছে ক্যাডারদের অমানুষিক নির্যাতন। সোহরাব কি করেছিলো? ওর মত সাধারণ ছেলেদের ওপর ক্যাম্পাসের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে মেধা বিকাশে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে।
এসময় তারা অনতিবিলম্বে ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতসহ হামলাকারীদের ছাত্রত্ব বাতিল, হলের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রভোস্টের পদত্যাগ ও চিকিৎসার সকল খরচ প্রশাসনকে বহন সংবলিত তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন।
এর আগে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টায় ল্যাপটপ চুরির সন্দেহে ছাত্রলীগ কর্মী আসিফ লাকের নেতৃত্বে সোহরাবসহ ফ্যাইনান্স বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শামছোজ্জোহা হলের ছাদ থেকে ডেকে তৃতীয় ব্লকের ২৫৪ নাম্বার কক্ষে নিয়ে যান।
সেখানে সোহরাবকে নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে আসিফ লাক ও হুমায়ুন কবির নাহিদ। এসসয় বাকবিতন্ডা শুরু হলে তারা সোহরাবকে মারধর করে।
এক পর্যায়ে সোহরাব রক্তাক্ত হলে তারা মারধর বন্ধ করেন। পরে তাকে মোটরসাইকেলে করে রাবি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে এ্যাম্বুল্যান্সে করে সোহরাবের বন্ধুরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
তার শরীরে, হাঁটুতে ও মাথায় আঘাত করায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তিনি হাসপাতালের ৮ নাম্বার ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সোহরাবের মাথায় তিনটি সেলাই দেয়া হয়েছে।
মারধরে অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন, আসিফ লাক ও হুমায়ুন কবির নাহিদ। দু’জনেই শামছোজ্জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের দায়িত্বে রয়েছেন এবং রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী।
কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, সোহরাবের বাম হাতের কনুইয়ের ওপর ও নিচে দুই জায়গায় ভেঙে গেছে। মাথার তিন জায়গায় সেলাই দেয়া হয়েছে। মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আপাতত এক ব্যাগ রক্ত দিয়ে তার সিটিস্ক্যান করানো হয়েছে।
এ বিষয়ে রাবি ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, গতরাতে ঘটনার পরপরই সোহরাবকে আমাদের কাছে নিয়ে আসে। এম্বুল্যান্স ডেকে তাকে চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরে রাতে মেডিকেলে গিয়ে তার সার্বিক খোঁজ খবর নেয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর. লুৎফর রহমান জানান, গুরুত্বপূর্ণ কাজে ঢাকা থাকায় এ ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত নই।
এআই/
আরও পড়ুন