ইবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১২
প্রকাশিত : ২৩:১৭, ২০ নভেম্বর ২০১৯
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের কর্মীদের মাঝে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায়-দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জিয়া হল মোড় এলাকায় এ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা। এতে প্রায় ১২জন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জিয়া হল মোড়ে সিনিয়র ছাত্রলীগকর্মী লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আলাল ইবনে জয়, চঞ্চু চাকমা, ঝিনুক বাবু এবং সালমান জুনিয়র ছাত্রলীগ কর্মী এবং আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রিজভী আহমেদ ওশানকে ডাকে।
এসময় ওশানের হাটাচলা ভালো নয় বলে তাকে জানিয়ে ভালোভাবে হাটতে বলে। এতে জুনিয়র ওশান ক্ষিপ্ত হয়ে সিনিয়রদের সাথে খারাপ আচরণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। এতে ওশানকে চড়-থাপ্পড় মারে সিনিয়ররা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাশ ও লাঠিসোটা নিয়ে কয়েক দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে ছাত্রলীগ কর্মীরা। এতে উভয় গ্রুপের শাহাজালাল ইসলাম সোহাগ, বাধন, আলাল ইবনে জয়, স্বাধীন, হাসান, রানা, সালমানসহ ১২ জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আহতদের মধ্যে সাত জনকে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানো হলে সেখানেও আরেক দফা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে তারা। এছাড়াও ব্যাবসায় প্রশাসন ভবন, সাদ্দাম হোসেন হল ও বঙ্গবন্ধু হল এলাকায়ও সংর্ঘষ হয়েছে। জানা যায়, সংঘর্ষে জড়ানো কর্মীরা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত গ্রুপের মধ্যে দুটি উপ গ্রুপ। এ উপ গ্রুপ দুটির নেতৃত্বে রয়েছে দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিস বিভাগের শাহজালাল সোহাগ, মশাররফ হোসেন নীল এবং ইংরেজী বিভাগের ফজলে হাসান রাব্বি।
আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত চিকিৎসক খুরশিদা জাহান। তবে আহতদের কেউ আশঙ্কাজনক নয় বলেও জানান তিনি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাস এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় আবাসিক হরগুলোর সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছ্।
এ বিষয়ে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘বিষয়টি শোনা মাত্র আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। উভয় গ্রুপকে স্ব-স্ব হলে পাঠিয়ে দিয়েছি। গভীর রাত পর্যন্ত ক্যাম্পাসে থাকবো। আশা করছি নতুন করে কোন সমস্যা তৈরী হবে না।’
কেআই/আরকে
আরও পড়ুন