ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

রাবির একাদশ সমাবর্তন শনিবার, নতুন সাজে মতিহারের ক্যাম্পাস

রাবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ১১:০৯, ২৭ নভেম্বর ২০১৯

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) একাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে আগামী শনিবার। এবারের সমাবর্তনকে ঘিরে অন্যরকম আমেজ তৈরী হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে। নতুন সাজে সেজেছে মতিহারের সবুজ চত্বর।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক হতে প্রশাসন ভবন, সিনেট ভবন, জোহা চত্বরে নানা আলোকসজ্জায় রঙ্গিন করে মেলে ধরেছে ক্যাম্পাসকে। এবারের সমাবর্তনকে সাফল্যমণ্ডিত করতে সব প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। যথাসময়ে সমাবর্তনে অংশ নিতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেছেন গ্রাজুয়েটরা।

একাদশ সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. রঞ্জন চক্রবর্তী।

সমাবর্তন সম্পর্কে সমাজকর্ম বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ আতিক নামে এক গ্রাজুয়েট বলেন, সমাবর্তনে অংশ নিতে পেরে অনেক আনন্দ লাগছে। সবার সঙ্গে অনেক দিন পরে দেখা হবে। জীবনের সেরা একটি দিন অপেক্ষা করছে। এমনটাই চাওয়া ছিল।

সমাবর্তনে অংশ নেয়া আরেক শিক্ষার্থী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, একজন শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে পড়াশোনা শেষ করে একদিন গ্রাউন, ক্যাপ পড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সনদ গ্রহণ করা। সে আশা পূরণ হতে চলছে। মতিহারে মায়াভরা ক্যাম্পাসে আবারও যাচ্ছি। ২০১৮ সালে দশম সমাবর্তন হয়েছে ঠিক এক বছরের পরেই আবার সমাবর্তন পাচ্ছি যা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের।

তবে নানা কারণে একাদশ সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করছেন না অর্ধেকেরও বেশি গ্রাজুয়েট। এবারের সমাবর্তনে পিএইচডি, এমফিল, স্নাতকোত্তর, এমবিবিএস, বিডিএস ও ডিভিএম ডিগ্রি অর্জনকারী ৮ হাজার ৮১৪ জনের মধ্যে নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৩ হাজার ৪৩৮ জন গ্রাজুয়েট।

এবারের সমাবর্তনে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে পিএইচডি, এমফিল, স্নাতকোত্তর, এমবিবিএস, বিডিএস ও ডিভিএম ডিগ্রি অর্জনকারীরা অংশ নিচ্ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারী জানান, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে পিএইচডি, এমফিল, স্নাতকোত্তর, এমবিবিএস, বিডিএস ও ডিভিএম ডিগ্রি অর্জনকারী গ্রাজুয়েটের সংখ্যা আট হাজার ৮১৪ জন। এর মধ্যে কলা অনুষদে এক হাজার ৪০২ জন, আইন অনুষদে ১৬১, বিজ্ঞান অনুষদে ৬৮৫ জন, বিজনেজ স্ট্যাডিজ অনুষদে ৭৭৬, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ৬২২, জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদে ৬১০, কৃষি অনুষদে ১১৫, প্রকৌশল অনুষদে ২৪৬ জন, চিকিৎসা থেকে ৩ হাজার ৫৯৭ জন পিএইচডি, এমফিল, স্নাতকোত্তর, এমবিবিএস, বিডিএস ও ডিভিএম ডিগ্রি অর্জন করেছে।

সমাবর্তন উপলক্ষে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তাজউদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবনে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সসহ (এসএসএফ) গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সমাবর্তন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর লুৎফর রহমান বলেন, সমাবর্তন অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (এসএসএফ) সঙ্গে গোয়েন্দা সংস্থা লোকজনও থাকবে ক্যাম্পাসে। এবারের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মেডিকেল টিম ভিতরে অবস্থান করবে যাতে কেউ অসুস্থ হলে গ্রুত সেবা দেয়া যায়। মূল অনুষ্ঠান চলাকালীন আবাসিক হলে শিক্ষার্থীরা বের না হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হবে। গত বছরের সমাবর্তন থেকে এবারের সমাবর্তন কিছুটা নতুন আঙ্গিকে করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

একে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি