গোপালগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
প্রকাশিত : ০৮:৪৮, ২৮ নভেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ০৮:৫৪, ২৮ নভেম্বর ২০১৯
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাত ১১ টার দিকে গোপালগঞ্জের সোনাকুড়ের মেস থেকে নোমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মেসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা জানান, রাত ১০টার পর তারা নোমানের রুম থেকে পানি বের হতে দেখলে দরজা ভেঙে রুমে প্রবেশ করে। পরে তাকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখতে পায়। তাৎক্ষণিকভাবে তারা বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা এবং অন্য শিক্ষকরা পুলিশসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নোমানের মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
এদিকে, নোমানের রুম থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে, যা প্রকাশ করা হয়নি। তবে নাম প্রকাশ না করা শর্তে মেসের এক ছাত্র জানিয়েছেন, ও সুইসাইড নোটে লিখেছে ওর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, ওর একটা অসুখ রয়েছে যেটা সহ্য করতে না পেরেই সুইসাইড করেছে।
ওই ছাত্র জানায়, সে সুইসাইড নোটের এতটুকুই দেখতে পেয়েছে, পুলিশ তাদেরকে পুরো সুইসাইড নোটটি দেখতে দেয়নি।
নোমানের বন্ধুরা জানান, নোমান মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিল। বেশ কয়েকবার চিকিৎসাও করানো হয়। তবে আজ তার আচরণ স্বাভাবিক ছিল। আজকেও মেসের বাজার করেছে। নামাজও পড়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান বলেন, ঘটনাটি শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। পরে ছেলেটির পরিবারকে জানানো হয়েছে। বিস্তারিত পরবর্তীকালে জানা যাবে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, চরসোনাকুড় এলাকার একটি মেস থেকে গোপালগঞ্জ বশেমুরবিপ্রিবি’র ছাত্র আব্দুল্লাহ আল নোমানের ঝুলান্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ফ্যান হুকের সঙ্গে তার মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। একতলা একটি বাড়িতে মেস করে ১৫ জন ছাত্র থাকেন। সে ওই মেসের একটি রুমে একা থাকতেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই ছাত্র গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে।
নোমানের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায়। স্নাতক প্রথম বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন তিনি।
একে//
আরও পড়ুন