বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে ডোপ টেস্টের সুপারিশ
প্রকাশিত : ১০:৪০, ২ ডিসেম্বর ২০১৯
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও চূড়ান্ত পরীক্ষার আগে ডোপ টেস্ট চালুর সুপারিশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। গতকাল রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয় বলে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে বৈঠকে সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আফছারুল আমীন, হাবিবর রহমান, সামছুল আলম দুদু, পীর ফজলুর রহমান এবং সুলতান মোহাম্মদ মনসুর অংশ নেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশকে মাদকের অভিশাপ থেকে মুক্ত রাখতে এবং শিক্ষিত ও সুস্থ জাতি উপহার দিতে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী ভর্তি এবং ফাইনাল পরীক্ষার আগে কমিটি ডোপ টেস্ট সিস্টেম চালু করার পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করে। কমিটির আমন্ত্রণে বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যাতে কোনোভাবেই অপরাধ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হতে না পারেন, সে বিষয়গুলো মনিটর করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে তৎপর থাকতে সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে যারা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে, বৈঠকে তাদের কার্যক্রমও মনিটরের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যাতে কোনোভাবেই কোনও ধরনের অপরাধ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত হতে না পারে সে বিষয়গুলো মনিটর করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে তৎপর থাকতে সুপারিশ করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন কারণে যারা আত্মসমর্পণ করেছে তাদের কার্যক্রম মনিটর করার সুপারিশ করা হয়।
এ সময় বাংলাদেশ-ভারত এবং বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবির অভিযান কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থে শূন্য লাইন হতে এক কিলোমিটারের বাইরে বিদ্যমান ১২৬টি বিওপি সীমান্তের কাছাকাছি স্থানান্তরের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এগুলো স্থানান্তরের মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও, সুনামগঞ্জ, কুমিল্লা ও ফেনী জেলার সীমান্ত এলাকার চারটি পরিত্যক্ত বিওপিকে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা নিকেতনে রূপান্তরের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও বেকারত্ব দূর, চোরাচালান রোধ ও সীমান্ত অপরাধ থেকে মুক্ত রেখে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় বিজিবির উদ্যোগে ‘আলোকিত সীমান্ত’ প্রকল্প চালু করে ৫০ জন নাগরিককে স্বাবলম্বী করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
বৈঠকে পুলিশ বিভাগের সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে আরও শক্তিশালী করতে প্রশিক্ষণ দিয়ে সক্ষমতা অর্জনের পাশাপাশি অত্যাধুনিক সাইবার যন্ত্রপাতি স্থাপনের মাধ্যমে এ ইউনিটকে আরও কার্যকরী করার জন্য মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে কারা অধিদপ্তর, পুলিশ হাসপাতাল, বিজিবি, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নিয়োগ এবং তাদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়ন এবং কারাগারে মেডিকেল ইউনিট খোলার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে ফায়ার সার্ভিসকে আরও কার্যকর করতে একটি অত্যাধুনিক ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং একাডেমি নির্মাণের সুপারিশ করা হয়।
এমএস/
আরও পড়ুন