ধর্ষণ নিয়ে যা বললেন সেই ঢাবি ছাত্রী
প্রকাশিত : ০৯:২৬, ৭ জানুয়ারি ২০২০
রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় ধর্ষণের শিকার হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দ্বিতীয় বর্ষের ভুক্তভোগী ছাত্রী সোমবার পুলিশকে জানিয়েছেন যে অপরাধী একা ছিল।
পুলিশের উপকমিশনার (গুলশান বিভাগ) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে জেনেছি যে ধর্ষক একা ছিল।’
কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের কাছে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, ঢাবি ছাত্রী কুর্মিটোলা বাস স্ট্যান্ডের কাছে ঝোপের মধ্যে ধর্ষিত হন। সেখান থেকে আলামত হিসেবে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বই, চাবির রিং, ইনহেলার ও হাতঘড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।
সুদীপ আরো বলেন, সিআইডি ক্রাইম সিনের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম ধর্ষণের জায়গা থেকে কালো প্যান্ট, একটি টুপি, জুতা ও অন্যান্য কয়েকটি জিনিস সংগ্রহ করেছেন।
এগুলো পরীক্ষা করার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
ডিসি বলেন, তারা ঘটনাটি নিবিড়ভাবে তদন্ত করছেন এবং ধর্ষককে চিহ্নিত করে যত দ্রুত সম্ভব গ্রেপ্তার করতে সব পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দলও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এদিকে, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেছেন।
উল্লেখ্য, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ঢাবির নিজস্ব বাস ক্ষণিকায় রওনা দেন তিনি। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামেন। এরপর একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। ধর্ষণের পাশাপাশি তাকে শারীরিক নির্যাতনও করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে। ধর্ষণের এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান।
ফলে হাসপাতালে নিলেও তার জ্ঞান ফিরতে কিছুটা সময় লাগে। রাত ১০টার দিকে নিজেকে একটি নির্জন জায়গায় আবিষ্কার করেন ওই ছাত্রী। পরে সিএনজি নিয়ে ঢামেকে আসেন। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।
আরও পড়ুন