ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪

ডিবিতে ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ মামলা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৩৯, ৭ জানুয়ারি ২০২০

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তর বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলা। এদিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন ওই শিক্ষার্থী দুই-একদিনের মধ্যেই বাড়ি যেতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।

সোমবার রাতে মামলাটির তদন্ত ভার ডিবি উত্তরকে দেওয়া হয়।

ডিবি উত্তর বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান জানিয়েছেন, তাদের টিম ধর্ষককে শনাক্তে প্রযুক্তিগত তদন্ত শুরু করেছে। যে কোনো মূল্যে ধর্ষককে আইনের আওতায় নেওয়ার চেষ্টা চলছে।

সেই সঙ্গে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘গতকাল (সোমবার, ৬ জানয়ারি) আমরা সাত সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছি। ফাইনালি তারা শারীরিক অবস্থার মধ্যে ট্রমা পাননি। উনি মানসিকভাবে যথেষ্ট ডিপ্রেসিভ ছিলেন। আমাদের মনোচিকিৎসক আছেন, উনি কিছু ম্যানেজমেন্ট দিয়েছেন। ওই শিক্ষার্থী গতকাল থেকে স্বাভাবিকতার দিকে আগাচ্ছেন এবং তার মানসিক শক্তি ধীরে ধীরে বাড়ছে।’

পরিচালক আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি, চিকিৎসক পরামর্শ দিলে আমরা দুই-একদিনের ভেতরে তাকে ছাড়পত্র দিতে পারবো। তবে তার সর্বোপরি অবস্থা উন্নতির দিকে।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনাটি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। মামলার তদন্তভার আনুষ্ঠানিকভাবে ডিবির কাছে ন্যস্ত হলেও র‌্যাব ও পিবিআই পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করেছে। ধর্ষককে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিতে প্রযুক্তিগত তদন্তের পাশাপাশি নানা ধরনের আলামতও বিশ্নেষণ করা হচ্ছে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম জানান, র‌্যাবও ঘটনার ছায়াতদন্ত শুরু করেছে। কিছু আলামতের সূত্র ধরে ধর্ষককে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, গত রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শেওড়া যাওয়ার উদ্দেশে ঢাবির বাসে ওঠেন ওই শিক্ষার্থী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পর অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তাকে পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করা হয়।
এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি