ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪

জাকিয়া ইসলামের অনন্য রেকর্ড

শেকৃবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ১৫:৫২, ৭ জানুয়ারি ২০২০

নার্সারি থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত একাডেমিক ফলাফলে শতভাগ নম্বর পাওয়ার রেকর্ড আছে অসংখ্য। কিন্তু অনার্স বা স্নাতক পর্যায়ে প্রতিটি বিষয়ে বা কোর্সে এমন শতভাগ নম্বর পাওয়ার রেকর্ড খুব একটা নেই। এবার সেই কৃতিত্ব গড়ে দেখিয়েছেন রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) এক শিক্ষার্থী। 

কৃষি অনুষদ থেকে অনার্স (স্নাতক) পরীক্ষায় সিজিপিএ -৪ এর মধ্যে সিজিপিএ ৪-ই পেয়ে এ রেকর্ড গড়েছেন গাইবান্ধার কৃতি সন্তান মরহুম খাদেমুল ইসলামের সর্বকনিষ্ট মেয়ে মোছা. জাকিয়া ইসলাম। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেয়া একটি প্রত্যয়নপত্রে বিষয়টি জানা গেছে। 

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর প্রকাশিত অনার্স পরীক্ষার ফলাফলে সিজিপিএ-৪ এর মধ্যে সিজিপিএ-৪-ই পেয়ে বিশ্বিবদ্যালয়ে রেকর্ড গড়েন তিনি। এর আগে এই বিশ্বিবদ্যালয় থেকে আর কেউ এমন ফলাফল করতে পারেননি। 

জাকিয়া ইসলামের এমন ফলাফলে উচ্ছ্বসিত তার পরিবার ও শুভাকাঙ্খীরা। বাবা মরহুম খাদেমুল ইসলাম ও মা গুলশান আরা বেগমের  তিন সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ট তিনি।

জাকিয়া ইসলামের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালে গাইবান্ধা কলেজিয়েট মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যানেল্টপুলে বৃত্তি, ২০০৮ সালে গাইবান্ধা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করেন তিনি। 

২০১১ সালে একই বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ -৫ এবং ২০১৩ সালে গাইবান্ধা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পান জাকিয়া ইসলাম। অষ্টম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত গাইবান্ধা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রথমস্থান অধিকার করেন তিনি।

এরপর প্রাণপন চেষ্টার ফলে কৃতিত্বের সহিত ভর্তি হন ঢাকার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে আট সেমিস্টারের প্রতিটিতেই সিজিপিএ-৪-ই পেয়েছেন জাকিয়া।

এ ছাড়া শেকৃবির সর্বোচ্চ সম্মাননা ডীনস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনি। উন্নয়নশীল দেশের পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য কাজ করা জাপানের NEF(Nagao NaturalEnvironmentFoundation) থেকে বৃত্তিপ্রাপ্তও হন জাকিয়া। বর্তমানে তিনি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েই এমএমএসিতে অধ্যয়ন করছেন। 

জাকিয়া ইসলাম বলেন, ‘জানার ইচ্ছা আর আগ্রহ আমাকে নিয়ে গেছে বহুদূর, আমি পড়ালেখাকে কখনো জোরপূর্বকভাবে নেয়নি।’

ভবিষ্যতে পরিকল্পনা সম্পর্কে এ শিক্ষার্থী বলেন, ‘কৃষিবিদ হয়ে ভেজালমুক্ত খাবার এবং কৃষি সেক্টরে উন্নয়ন ঘটানোর চেষ্টা করব। এজন্য সবার কাছে দোয়া চাই।’

জাকিয়া ইসলামের বড় ভাই খালেদুল ইসলাম মুরাদ বলেন, ‘আমার ছোট বোনের এমন ফলাফল গাইবান্ধার সুনাম আরও বৃদ্ধি করেছে। তার এমন ফলাফলের কথা শুনে প্রশংসা করেছেন অনেকে।’

এআই/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি