বশেমুরবিপ্রবিতে বর ও কনের ব্যতিক্রমী গায়ে হলুদ
প্রকাশিত : ২৩:২৫, ১৭ জানুয়ারি ২০২০
গায়ে হলুদ বাঙালি সংস্কৃতির বহুল প্রচলিত উৎসবগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি মূলত বিয়ে সম্পর্কিত একটি আচার, যেটি বর ও কনে উভয় পক্ষ দ্বারা পালিত হয়। এটি মূলত একটি মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান, যা প্রাচীনকাল থেকে প্রচলিত। বাঙালি বিয়ের যে কয়টি পর্ব পালিত হয়, তার মধ্যে অন্যতম বর্ণিল ও বর্ণাঢ্য পর্বটিই হচ্ছে গায়ে হলুদ।
এই পর্বটিকে ঘিরে থাকে নানা পরিকল্পনা ও উচ্ছ্বাস! বর-কনে সেই সাথে তাদের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-পরিজনকে কী রকম সাজ-পোশাক করবে তা নিয়ে চলতে থাকে নানা জল্পনা-কল্পনা আর আয়োজন।
বন্ধু-বান্ধবের মাঝে চাঁদবরণ হাসিমাখা মুখে বসে আছেন বর ও কনে। কারো হাতে কাঁচা হলুদের রঙ আবার কেউ কনের গায়ে বাহারি ফুলের পাঁপড়ি ছিটাতে ব্যস্ত। আজ সবার আনন্দ যেন বাঁধ মানে না। এমনই এক বিয়ের প্রথম পর্ব গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান লক্ষ করা যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
বর জুয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আর কনে আশা একই বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের সহপাঠীদের আয়োজনে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকপাড়ে। বন্ধুবান্ধব ছাড়াও বিভাগের সিনিয়র-জুনিয়রদের পাশাপাশি এ সময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যতিক্রমধর্মী এ আয়োজনে হতবাক অনেকেই। কারণ, এর আগে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটেনি। সবাই একটু-আধটু উঁকি দিয়ে দেখছে, কী হয়! বাঁশের ডালা, কুলা, চালুন ও মাটির সরা, ঘড়া, মটকা দিয়ে বিয়ের বাড়ির আমেজ তৈরি করা হয়েছে যেন! এরকম ঘটনা রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ব্যতিক্রমী এই গায়ে হলুদ আয়োজকদের অন্যতম শিকদার মাহবুব বলেন, ‘বশেমুরবিপ্রবিতে এই প্রথম কারও গায়ে হলুদের আয়োজন হচ্ছে। এমন ব্যতিক্রমী আয়োজনের অংশ হতে পেরে আমরা আনন্দিত। বর ও কনের ভবিষ্যত জীবনের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।’
কনে আশা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘নিজেকে খুবই সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। ক্যাম্পাসে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হবে কখনও ভাবিনি। আমি অনেক বেশি আনন্দিত। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
গায়ে হলুদ সর্ম্পকে বর জুয়েল এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, "পারিবারিক ভাবে আগেই আমাদের বিয়া হয়েছে,কিন্তু ক্যাম্পাসের ছোট ভাই-বোন আনন্দ করার জন্য পুনরায় গায়ের হলুদের আয়োজন করে।এই আয়োজনে আমি অনেক আনন্দিত।"
উল্লেখ্য গত ৮ জানুয়ারি পারিবারিক ভাবে জুয়েল ও আশার বিবাহ সম্পন্ন হয়। তাদের উভয়ের বাড়িই খুলনা জেলায়।
আরকে//
আরও পড়ুন