ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

চবিতে পৃথক ঘটনায় ছাত্রলীগের ৭ কর্মী আহত, অবরোধের ডাক

চবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ২২:৫২, ২২ জানুয়ারি ২০২০

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পৃথক দুই ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সাত কর্মী আহত হয়েছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় জিরো পয়েন্ট, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ ও সোহরাওয়ার্দী হলে পৃথক এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আমানত ও সোহরাওয়ার্দীতে রেড বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মারধরের শিকার ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী মাহফুজুল হুদা লোটাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের একই সেশনের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম খলিল, ইতিহাস বিভাগের জাহিদ শাকিল, ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী শামীম আজাদ, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আবু বকর সিদ্দিক জীবন, আইন বিভাগের একই সেশনের অপূর্ব এবং গণিত বিভাগের রাওফান। 

লোটাস, ইব্রাহীম ও শাকিল নগর মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন অনুসারী শাখা ছাত্রলীগের উপ-গ্রুপ সিক্সটি নাইনের কর্মী। শামীম সিএফসি এবং জীবন, অপূর্ব ও রাওফান বিজয়ের কর্মী ও শিক্ষা উপ-মন্ত্রী  মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী।

জানা যায়, বিকেল চারটা নাগাদ তারা সিপিতে বসে ছিলেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নং গেইট সড়ক থেকে একটি সিএনজিতে করে (৪-৫) জন মুখশধারী দুর্বৃত্ত এসে তাদের উপর হামলা চালায়। হামলা করে আবার একই সিএনজিতে করে এক নং গেইটের দিকে চলে যায়। তাদের একজনকে চমেকে পাঠানো হয়।

এই খবর সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে মূল ফটকে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ করে তারা। এসময় বিভিন্ন রকমের স্লোগান দেয়। এই ঘটনার পর ছেড়ে যায়নি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরগামী বিকেল চারটার ট্রেন। যার ফলে ভোগান্তি পোহাতে হয় শিক্ষার্থীদের।

আহত ইব্রাহীম খলীল জানান, আমরা জিরো পয়েন্টের একটি স্টলের সামনে বসে ছিলাম। এসময় আরএস গ্রুপের নেতা রকিবুল হাসান দিনারের নেতৃত্বে ৫ জন মিলে আমাদের উপর হামলা করে।

এ বিষয়ে শাখা সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, বগি ভিত্তিক সিক্সটি নাইন গ্রুপ ও আর এস মারামারি করছে বলে শুনেছি। আমরা উভয়কে শান্ত হওয়ার আহবান জানিয়েছি। দোষীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে বিকাল ৫টার দিকে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায় বগিভিত্তিক উপগ্রুপ সিএফসি ও বিজয়। এতে হামলকারীদের নির্দেশতা আখ্যা দিয়ে চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেলকে গ্রেফতার এবং সাংগঠনিক পদ থেকে প্রত্যাহারের দাবিতে ক্যাম্পাসে লাগাতার অবরোধের ডাক দিয়েছে বিজয় গ্রুপ।

চবি ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিজয় পক্ষের নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, প্রশাসনের সামনে রেজাউল হকের রুবেলের নির্দেশে জামায়াতি স্টাইলে রগ কাটায় জড়িতদের রাত ৯টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে। অন্যথায় আজ রাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় লাগাতার অবরোধ চলবে। একই সাথে রেজাউল হক রুবেল অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছি। ছাত্রলীগ থেকেও তাকে বহিষ্কারের দাবি জানাই।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কতৃক বগিভিত্তিক সংগঠন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যারা এই ধরনের কর্মকান্ড ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। প্রশাসনকে আমি আগেও বলেছি এখনও বলছি যারা আগে মেরেছে আর যারা পরে মেরেছে সকল অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করতে। এদের যদি এভাবে ছাড় দেওয়া হয় তাহলে সহিংসতা আরও বেড়ে যাবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এসএম মনিরুল হাসান বলেন, "আমরা ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছি। কিছু বিষয় নিয়ে কাজ করছি। এখনই কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। আমরা দুইটা হলে রেড দিচ্ছি।

কেআই/এসি

 
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি