ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পিঠা উৎসব

চবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ১৫:৪৬, ২৬ জানুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১৫:৪৬, ২৬ জানুয়ারি ২০২০

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যাগে দিনব্যাপী পিঠা উৎসব পালিত হয়েছে। দিনব্যাপী এই আয়োজন ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার চত্বরে শুরু হয়।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।

পিঠা উৎসবের আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বলেন, ‘পিঠা খাওয়া গ্রাম বাংলার মানুষের চিরায়ত ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচিত। কালের বিবর্তনে এ ঐতিহ্য এখন ম্লান হয়ে আসছে। তবে শীত এলে বাংলার ঘরে ঘরে এখনো পিঠা তৈরির উৎসব শুরু হয়। অগ্রহায়ণের নতুন চালের পিঠার স্বাদ সত্যিই বর্ণনাতীত ‘

তিনি বলেন, ‘এ নান্দনিক আয়োজনগুলো পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে সুদৃঢ় করে। গ্রাম বাংলার নানা বৈচিত্রের পিঠা সম্পর্কে শহুরে জীবনে তেমন সাড়া না জোগালেও গ্রামাঞ্চলে এখনো এর প্রচলন সমধিক। এখানে অনেক পিঠা দেখতে পেলাম, যেগুলো আমাদের আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি।’

দেখা যায়, উৎসবে অংশ নেওয়া জোটভুক্ত সংগঠনগুলোর আলাদা আলাদা স্টল। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি মঞ্চ, অঙ্গন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠন, প্রথম আলো বন্ধুসভা, এবং উত্তরায়ণ সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ। এই পাঁচটি সংগঠনের প্রতিটি স্টলে রয়েছে রকমারি পিঠার সমাহার।

পিঠার মধ্যে- পাটিসাপটা, পুলি, পাতা পিঠা, ঝাল পিঠা, নারকেল পিঠা, ভাপা পিঠা বানিয়েছেন কেউ কেউ। কেউ আবার নকশা পিঠা, ঝিনুক পিঠা, জামদানি, সূর্যমুখী, গোলাপি, দুধপুলি, রসপুলি, দুধরাজ, সন্দেশ, আন্দশা, মালপোয়া, পাজোয়াসহ সুন্দর সুন্দর নাম আর ভিন্ন স্বাদের হরেক রকেমের পিঠা।

আয়োজকদের তথ্য মতে, ‘মেলায় প্রায় একশত পদের ভিন্ন ভিন্ন পিঠার সমাহার রয়েছে।’

সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত পিঠা উৎসবের আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি মঞ্চের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ আরিফ বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পাসে লোকজ সংস্কৃতির আয়োজন খুব একটা হচ্ছে না বললেই চলে। সেই জায়গা থেকে চবি সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে বিগত তিন বছর ধরে আমরা এই পিঠা উৎসব করে আসছি।’

তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে গেলে এই আয়োজন করে আমাদের অর্থনৈতিক লাভ তো দূরের কথা বরং আরও ভর্তুকি দিতে হয়। আশাকরি সামনে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ফান্ডিং পাবো। সেটা পেলে আরো বড় পরিসরে এ উৎসবের আয়োজন করতে করতে পারবো। তবে এই উৎসব করতে গিয়ে জায়গা নিয়ে নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হয়, আমরা বুদ্ধিজীবী চত্বরে চাইলেও প্রশাসন থেকে সেই অনুমতি পাইনি। যদিও ওখানে আরও বিভিন্ন সংগঠনের প্রোগ্রাম হয়।’

পাশাপাশি পিঠা উৎসব আয়োজনকারী সংগঠনগুলোর পরিবেশনায় শহীদ মিনার চত্বরে বিকেলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আই/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি